আল্লহ তায়া’লা আপন রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করিয়া এরশাদ
করিতেছেন, –আর যখন এই সমস্ত লোক সেই কিতাব শ্রবণ করে যাহা রসুলের
উপর নাযিল হইয়াছে তখন আপনি, (কুরআনে কারীমের আছরের দরুন)
তাহাদের চোখে অশ্রু বহিতে দেখিবেন, এই কারণে যে তাহারা
সত্যকে উপলব্ধি করিতে পারিয়াছে। (সূরা মায়েদাহঃ ৮৩)
আর যখন কুরআন পড়া হয় তখন উহা
কান লাগাইয়া শুন এবং চুপ থাক, যেন তোমাদের উপরে রহম করা হয়।
(সূরা আ’রাফঃ ২০৪)
সেই বুযুর্গ ব্যক্তি হযরত মূসা
আ’লাইহিস সালাম কে বলিলেন, যদি আপনি (ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে)
আমার সহিত থাকিতে চান তবে খেয়াল রাখিবেন, যেন কোন বিষয়ে
আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা না করেন, যতক্ষন আমি নিজেই সে বিষয়ে
আপনাকে বলিয়া না দিই। (সূরা কাহাফঃ ৭০)
আল্লহ তায়া’লা আপন রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে এরশাদ করিতেছেন, –আপনি
আমার সেই সকল বান্দাগনকে সুসংবাদ শুনাইয়া দিন, যাহারা এই
কালামে এলাহীকে কান লাগাইয়া শ্রবণ করে, অতঃপর উহার উত্তম
কথাগুলির উপরে আমাল করে। ইহারাই তাহারা, যাহাদিগকে আল্লহ
তায়া’লা হেদায়াত দান করিয়াছেন, আর ইহারাই জ্ঞানী লোক। (সূরা
যুমারঃ১৭-১৮)
আল্লহ উৎকৃষ্ট বাণী অর্থাৎ
কুরআনে কারীম নাযিল করিয়াছেন, উহা এমন কিতাব যাহার বিষয়াবলী
পরস্পর সামঞ্জস্যশীল, বারবার পুনরাবৃত্তি করা হইয়াছে।
যাহারা আপন রবকে ভয় করে তাহাদের দেহ এই কিতাব শুনিয়া
কাঁপিয়া উঠে। অতঃপর তাহাদের দেহ ও তাহাদের অন্তর কোমল হইয়া
আল্লহ তায়া’লার যিকিরের প্রতি মনোনিবেশকারী হইয়া পড়ে। (সূরা
যুমারঃ ২৩)