কোন সংশোধন লক্ষ্য করলে
আমাদের জানাতে পারেন ।
'সানসুরুজ'(আনসেনসর্ড)
নামক একটি অনুষ্ঠান যেটি ২০০৯ এর ১৪ই আগষ্ট প্রচারিত
হয় সেখানে এ বিষয়টি আবার পরিস্কারভাবে দেখিয়ে দেয়া
হয়েছে। যে ধারণাটি ডারউইনবাদীদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করে
ফেলেছে তা হল 'আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরের জগৎ':
(আলোক রশ্মির) ফোটন
আমাদের চোখে আপতিত হয়, এরপর চোখ থেকে মস্তিষ্কে একটি
বৈদ্যুতিক সংকেত পরিবাহিত হয়। বৈদ্যুতিক সংকেতটি চোখ
থেকে যাত্রা করে সাইট সেন্টার(sight center) নামে এমন
একটি জায়গায় পৌছায় যার আকার একটি মসুর দানার সমান।
এরপর সেই মসুরের দানা আকৃতির স্থানে একটি মানসিক
চিত্রকল্প(image) তৈরী হয়। সেখানেএকটা চোখ আছে যেটি এই
চিত্রকল্পের দিকে অবলোকন করে। প্রকৃতপক্ষে ‘সেই’
চোখটিই হল পূর্ণাঙ্গ চোখ। এই চোখটিই এর নিকট পরিবাহিত
বৈদ্যুতিক সংকেতকে দেখে পূর্ণ গভীরতা ও ঔজ্জ্বল্য
সহকারে, জীবন্তভাবে, চলন্ত অবস্থায়, সকল প্রকার রঙে এবং
ত্রিমাত্রিকভাবে। অথচ সেই স্থানটি কয়লার ন্যায় কালো।
সাইট সেন্টার এবং মস্তিষ্কের ভিতরের অংশ- যেখানে
বৈদ্যুতিক সংকেত পৌছায় এর পুরোটাই কালো। অথচ সেখানে
যে চোখটি দেখে সেটি দেখে একটি সম্পুর্ণ এবং
ক্রিস্টালের মত স্বচ্ছ চিত্র, যেটি যেকোন উন্নত
প্রযুক্তির টেলিভিশনের চেয়ে অনেক ভালো। এবং এই
চিত্রগুলোকে সে এমনভাবে অনুদিত করে যে আমরা এর মাধ্যমে
দু:খ, আনন্দ, ভালোবাসা এবং পছন্দঅপছন্দ অনুভব করি, অথবা
আমরা এগুলোকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারি, এগুলো মনে
রাখতে পারি বা এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারি।
এখানে একটি মুজিযা
সংঘটিত হচ্ছে।
দেখার যোগ্যতাহীন
পরমানুসমূহের পক্ষে অসচেতনভাবে ও দৈবাৎ ঘটনাক্রমে
একত্রিত হয়ে এমন একটি দর্শনতন্ত্র তৈরী করা সম্ভব নয়
যে সবচাইতে পূর্ণাঙ্গ ক্যামেরাও তার মত সুন্দর চিত্র
তৈরী করতে পারে না এবং যেটি সবচেয়ে উন্নত ত্রিমাত্রিক
সিনেমা বা টেলিভিশন সিস্টেমের চেয়েও তীক্ষ্ণতর ও
রঙিনতর চিত্র প্রদান করে।
পরমানু সমূহ অচেতন।
এগুলোর কোন শ্রবণশক্তি নেই। অতএব এদের পক্ষে দৈবাৎ এমন
একটি শ্রবণতন্ত্র তৈরী করা সম্ভব নয় যেটি পূর্ণাঙ্গ
তীক্ষ্ণ ও মাল্টি ডাইমেনসনাল শব্দ উৎপাদনকারী সবচেয়ে
উন্নত স্টেরিও সিস্টেম থেকেও অনেক উর্দ্ধে ।
যে পরমাণুগুলোর পক্ষে
সম্ভব নয় কোন কিছুর ঘ্রাণ নেয়া তারা দৈবাৎ এমন কোন
ঘ্রাণতন্ত্র তৈরী করতে পারবে না যেটা গোলাপের গন্ধ
উপলব্ধি করতে পারে। আবার যে পরমানুর নেই কোন গরম,
ঠান্ডা বা শক্তনরম বোঝার ক্ষমতা তারা দৈবাৎ স্পর্শের
অনুভূতি তৈরী করবে এটা অসম্ভব।
অচেতন পরমাণু যারা কিনা
নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে উপলব্ধি রাখে না তাদের পক্ষে
সম্ভব নয় চান্সের মাধ্যমে এমন মানুষে পরিণত হওয়া যারা
সুর উপভোগ করে, সব রকমের খাবারের স্বাদ সম্পর্কে জানে,
যাদের স্মৃতি আছে, যারা চিন্তা ও অনুভব করে, যারা
পরিকল্পনা করে, নিজেদের মনে নিজেদের স্মৃতিগুলোকে জীবন
দান করতে পারে, হাসিখুশী এবং সুখী সময় উপভোগ করে এবং এ
রকম আরও শত শত বৈশিষ্ট্য বহন করে অথবা এমন একজন
বিজ্ঞানীতে পরিনত হয় যে কিনা সেই পরমাণুরই গঠন
অনুসন্ধান করতে থাকে।
যে চোখটি-
মস্তিষ্কের ভিতরে বাইরের উজ্জ্বল, চলমান এবং
ত্রিমাত্রিক জগৎ কে দেখতে পায় তা হল আত্মা। আত্মা
সম্পূর্ণরুপে মেটাফিজিক্যাল এবং কোন বস্তুবাদী চিন্তা
দিয়ে একে ব্যাখ্যা করা যায় না। ফলে বস্তুবাদী, নাস্তিক
ও বিবর্তনবাদী ব্যক্তিরা যারা আত্মার উপস্থিতিসহ বাকী
সবকিছুর বস্তুকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে
তারা পুরো ভীতিকর পরিস্থিতিতে পরে গেছে। সর্বশক্তিমান
আল্লাহর দেয়া আত্মা ডারউইনবাদ এবং ডারউইনবাদীদের
উপস্থাপিত বুদ্ধির জগৎ কে বিলুপ্ত করে দেয়। এ কারণেই
ডারউইনবাদীরা এই ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায় না
এবং দ্রুত একে এরিয়ে যেতে চায় যেমন তারা চেয়েছে উক্ত
অনুষ্ঠানে। যে কেউ এদেরকে এই ইস্যু থেকে পালিয়ে যেতে
দেখবে। কেননা তারা সবসময়ই আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরের
চোখটির পূর্ণতার সামনে পরাজিত হবে। যেই চোখটি তৈরী
করেছেন মহান আল্লাহ।