আদিম
পৃথিবীতে মানুষ জন্মেছিলো শিকারির চোখ নিয়ে যাতে দূরে থাকা শিকার কে সে
সহজেই দেখতে পারে। আধুনিক যুগে অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহার কারী এবং ভিডিও
গেম প্লেয়ার দের চোখের ফোকাস দিনের বেশিরভাগ সময় ই অত্যন্ত নিকটবর্তী
স্থানে থাকে। পাশাপাশি এদের চোখের পাতা ফেলার হার ও অনেক কম। এই দুটো কারণে
এদের মাঝে দেখা যায় নানারকম সমস্যা যেমন স্বল্পদৈর্ঘদৃষ্টি
(nearsightedness), চোখের শুস্কতা(dryness) ও
ঝাপসা দৃষ্টি (blurred vision), পাশাপাশি ঘাড় ও মাথা
ব্যথা তো আছেই। এইসব সমস্যা থেকে রেজাই পেতে কাজের ফাকে ফাকে প্রতি
আধাঘন্টায় নিচের ৫ মিনিটের এক্সারসাইজ গুলো করুন, সম্ভব না হলে অন্তত
প্রতি একঘন্টায় হলেও করুন।১) ২০ বার চোখের পাতা দ্রুত ফেলুন। এবার চোখ বন্ধ করে চোখের মনি ঘড়ির কাটার দিকে ১৫ বার আবার বিপরীতে ১৫ বার ঘুরান। এরপর লম্বা দম নিন। দম ছাড়তে ছাড়তে আস্তে আস্তে চোখ মেলুন।(এক মিনিট)
২) আপনার বুড়ো আঙ্গুল নাক থেকে ৬ ইঞ্চি দূরে ধরে তাকিয়ে থাকুন (একটা বড় শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়া পর্যন্ত), এবার অন্তত দশ ফিট দূরের কোন বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকুন থাকুন (একটা বড় শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়া পর্যন্ত), ঘরে জানালা থাকুলে সবচেয়ে ভালো হয়ে বাইরে গাছের দিকে তাকিয়ে থাকা। না থাকলে ঘরে থাকা কোন দূরবর্তী বস্তুর দিকে তাকান। এভাবে একবার বুড়ো আঙ্গুল আরেকবার দূরের বস্তুর দিকে তাকান মোট ১৫ বার। এটি আপনার চোখের ফোকাস ঠিক করতে সহায়তে করবে। (এক মিনিট)
৩) ঘরের এক কোনায় বসে ঘরের সব ছোটখাট বস্তু গুলোর (দরজা, লাইট, ফার্নিচার, ঘড়ি) দিকে হালকাভাবে একটার পর একটাতে দৃষ্টি বুলাতে থাকুন। এটি চোখের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করে (এক মিনিট)
৪) দুই হাতের তালু একটির সঙ্গে আরেকটি ঘসে গরম করুন। এবার তালু দিয়ে চোখ ঢেকে বসে মনে মনে ৬০ পর্যন্ত গুনুন। আলতো করে চোখ ঢেকে রাখবেন, কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করবেন না। হাতের তালুর নিচের অংশ গালে থাকবে এবং আঙ্গুল গুলো কপালে থাকবে। এক হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলের উপর ক্রস করে থাকবে। এটি চোখকে রিল্যাক্সড করতে সহায়তা করবে (১ মিনিট)
৫) আপনার থেকে ১০ ফিট দূরে একটি বিশাল চার (৪) কল্পনা করুন। ৪ টিকে কাত করে শুণ্যে শুইয়ে দিন। এইবার চোখ দিয়ে ৪টির গা বেয়ে বেয়ে দৃষ্টি বুলান। কিছুক্ষন ৪ এর মাথা থেকে নিচের দিকে দৃষ্টি বুলান এরপর নিচ থেকে মাথা বরাবর দৃষ্টি বুলান (এক মিনিট)
No comments :
Post a Comment