গ্রীষ্মকালে
প্রচণ্ড গরম এবং বাতাসে আর্দ্রতার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীর থেকে
প্রচুর ঘাম বের হয়। এটি অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা তাপমাত্রা ও
আবহাওয়ার কারণে একজন মানুষের হতেই পারে। তবে অনেক সময় এ ব্যাপারটা
স্বাভাবিক থেকে দূরে সরে যায়...
অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর যেমন দুর্বল হয়ে যায়, অন্যদিকে মুখোমুখি হতে হয় নানা বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এ রকম হতে পারে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে একটু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা খেলাধুলা ও দৈহিক পরিশ্রম বেশি করেন এবং কাজের তাগিদে এই উত্তপ্ত গরমের মধ্যেও অনেক সময় ঘরের বাইরে অবস্থান করেন, তাদের খুব বেশি ঘাম হয়। ঘাম, ধুলোবালু আর উত্তপ্ত তাপ আমাদের ত্বকেরও অনেক ক্ষতি করে। ঘামে ভেজা পোশাকে হয় দুর্গন্ধ। তাই এ সময়টাতে বৈরী পরিবেশের মধ্যে নিজেকে এসব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই একটু বেশি সচেষ্ট হতে হবে।
ঘাম স্বাভাবিক ও শারীরিক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া হলেও শরীর থেকে অতিমাত্রায় ঘাম বের হওয়া অবশ্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তারি ভাষায় এর নাম 'হাইপারহাইড্রোসিস'। ঘামের কারণ সঠিকভাবে বলা না গেলেও ধারণা করা হয়, উদ্বেগ কিংবা স্ট্রেসের সময় নিজেকে শান্ত করতে শরীরের স্বেদন প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। এ ছাড়া বিষণ্নতা, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায়ও এ রকম হতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, পারকিনসন, এমনকি ক্যান্সারের উপসর্গ হচ্ছে অতিমাত্রায় ঘামা। শরীরের হরমোনের পরিবর্তনও অতিমাত্রায় ঘামের কারণ। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। বেশি বেশি ঘেমে গেলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীর থেকে লবণ ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। মুখমণ্ডলে অতিমাত্রা ঘামের কারণে র্যাশ হয়। বগলে হয় দুর্গন্ধ। তা ছাড়া আর্দ্রতার কারণেও ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। ঊরুসন্ধিতে এ সমস্যা হতে পারে ভয়াবহভাবে। ঘামে ভেজা আন্ডারওয়্যার, ঘর্মাক্ত মোজা ও জুতার কারণেও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ঘেমে যাওয়া শরীরে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি ও কাশি হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামের ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার পদ্ধতি হলো বেকিং সোডার ব্যবহার। কনস্টার্চ ও বেকিং সোডা ত্বকে লাগিয়ে নিন। এরপর ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ফিটকিরি মেশানো পানিতে গোসল করলেও ঘাম কমে যাবে। আরও পদ্ধতি রয়েছে ঘাম কমানোর যেমন_ অ্যান্টিপারসপির্যান্ট কিংবা বোটক্স ইনজেকশনের ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। এর জন্য আপনি শরণাপন্ন হতে পারেন কোনো অভিজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের।
কিছু খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত অভ্যাসের পরিবর্তন আপনার জন্য বিশেষ সহায়ক হতে পারে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমিয়ে ফেলতে হবে। ধ্যান ও হালকা ব্যায়াম করুন। ভেষজ চা এবং ভিটামিন বি গ্রহণ করতে পারেন। কফি, অ্যালকোহল ও নিকোটিন অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত অল্প সময়ের জন্য ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং অতিমাত্রার ঘাম থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
টিপস
* বেশি বেশি পানি পান করুন।
* তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
* নিয়মিত পরিষ্কার পানিতে গোসল করুন।
* সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
* ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত আঁশযুক্ত শাকসবজি খান।
* সুতির আরামদায়ক পোশাক পরুন।
* সব সময় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
* পরিমিত ব্যায়াম ও ধ্যান করুন।
* ওরস্যালাইন খেতে পারেন।
* এর পরও সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর যেমন দুর্বল হয়ে যায়, অন্যদিকে মুখোমুখি হতে হয় নানা বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এ রকম হতে পারে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে একটু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা খেলাধুলা ও দৈহিক পরিশ্রম বেশি করেন এবং কাজের তাগিদে এই উত্তপ্ত গরমের মধ্যেও অনেক সময় ঘরের বাইরে অবস্থান করেন, তাদের খুব বেশি ঘাম হয়। ঘাম, ধুলোবালু আর উত্তপ্ত তাপ আমাদের ত্বকেরও অনেক ক্ষতি করে। ঘামে ভেজা পোশাকে হয় দুর্গন্ধ। তাই এ সময়টাতে বৈরী পরিবেশের মধ্যে নিজেকে এসব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই একটু বেশি সচেষ্ট হতে হবে।
ঘাম স্বাভাবিক ও শারীরিক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া হলেও শরীর থেকে অতিমাত্রায় ঘাম বের হওয়া অবশ্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তারি ভাষায় এর নাম 'হাইপারহাইড্রোসিস'। ঘামের কারণ সঠিকভাবে বলা না গেলেও ধারণা করা হয়, উদ্বেগ কিংবা স্ট্রেসের সময় নিজেকে শান্ত করতে শরীরের স্বেদন প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। এ ছাড়া বিষণ্নতা, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায়ও এ রকম হতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, পারকিনসন, এমনকি ক্যান্সারের উপসর্গ হচ্ছে অতিমাত্রায় ঘামা। শরীরের হরমোনের পরিবর্তনও অতিমাত্রায় ঘামের কারণ। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। বেশি বেশি ঘেমে গেলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীর থেকে লবণ ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। মুখমণ্ডলে অতিমাত্রা ঘামের কারণে র্যাশ হয়। বগলে হয় দুর্গন্ধ। তা ছাড়া আর্দ্রতার কারণেও ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। ঊরুসন্ধিতে এ সমস্যা হতে পারে ভয়াবহভাবে। ঘামে ভেজা আন্ডারওয়্যার, ঘর্মাক্ত মোজা ও জুতার কারণেও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ঘেমে যাওয়া শরীরে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি ও কাশি হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামের ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার পদ্ধতি হলো বেকিং সোডার ব্যবহার। কনস্টার্চ ও বেকিং সোডা ত্বকে লাগিয়ে নিন। এরপর ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ফিটকিরি মেশানো পানিতে গোসল করলেও ঘাম কমে যাবে। আরও পদ্ধতি রয়েছে ঘাম কমানোর যেমন_ অ্যান্টিপারসপির্যান্ট কিংবা বোটক্স ইনজেকশনের ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। এর জন্য আপনি শরণাপন্ন হতে পারেন কোনো অভিজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের।
কিছু খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত অভ্যাসের পরিবর্তন আপনার জন্য বিশেষ সহায়ক হতে পারে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমিয়ে ফেলতে হবে। ধ্যান ও হালকা ব্যায়াম করুন। ভেষজ চা এবং ভিটামিন বি গ্রহণ করতে পারেন। কফি, অ্যালকোহল ও নিকোটিন অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত অল্প সময়ের জন্য ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং অতিমাত্রার ঘাম থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
টিপস
* বেশি বেশি পানি পান করুন।
* তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
* নিয়মিত পরিষ্কার পানিতে গোসল করুন।
* সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
* ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত আঁশযুক্ত শাকসবজি খান।
* সুতির আরামদায়ক পোশাক পরুন।
* সব সময় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
* পরিমিত ব্যায়াম ও ধ্যান করুন।
* ওরস্যালাইন খেতে পারেন।
* এর পরও সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
No comments :
Post a Comment