এত অবহেলা, এত নিষিদ্ধের চেয়ে বাংলাদেশে ইসলামকেই নিষিদ্ধ করা হোক
যে মুসলিম প্রধান দেশের সংবিধান প্রনয়ন কমিটির হর্তা-কর্তা হয় একজন হিন্দু!! সেটি কিভাবে মুসলিম প্রধান দেশ হয় ? ভাবতে অবাক লাগে বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রের সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে, কি থাকবেনা তা নিয়ে নিয়মিত মন্তব্য করছে নন-মুসলিম, হায়রে বাংলাদেশের মুসলমানেরা! এখানেই কি শেষ ?? ফতোয়া ইসলামের একটি অবিচ্ছেদ্ধ অংশ অথচ বাংলাদেশে তা নিষিদ্ধ, এটিকে অস্বীকারকারী যে, প্রকারান্তে ইসলামকেই অস্বীকার করল তা এই দেশের মানুষ বুঝেও না বুঝার ভান করেন, এদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে থিসিস লেখেন খ্রিষ্টান কে সাথে নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ সেনাবাহীতে নাকি মৌলবাদি মাদ্রাসা ছাত্ররা ৩৫%!! সুতরাং সেনাবাহিনীকে পূনর্গঠন করারও প্রস্তাব দিয়েছেন, অবশ্য বিডিআর বিদ্রোহের নামে ইতিমেধ্য তা সম্পন্নও হয়েছে। একজন মুসলিম হিসেবে সব সময়ই ইসলামী রীতিনীতিকে শতভাগ পালন করার চেষ্টা করতে হবে, কিন্তু কষ্টে বুক ফেটে যায় যখন দেখি মুসলিম প্রধান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিন্দুদের তিলক নিচ্ছেন তার কপালে, বৌদ্ধদের অনুকরনে স্মৃতিসৌধে মাথা ঝুকে শ্রদ্ধা করছেন!! কোরান তেলাওয়াতে আপত্তি করছেন বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী, আবার উম্মতের নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী! কি আজব আমরা, যিনি নিজেই জানেন না উম্মত কি জিনিস তিনিই আবার মন্তব্য করছেন কে কার উম্মত। পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দীকিতো বলেই বসলেন তামাক মদের মত ধর্ম একটি নেশা, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পর্যায়ের মুখ থেকে এমন মন্তব্য ইসলাম সম্পর্কে! এ কেমন ধর্মনিরপেক্ষতা ? এরই নাম কি ধর্মনিরপেক্ষতা ? বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্ভোদন হলো কিছুদিন আগে, এখানে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান বলে কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমেই অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল, কিন্তু এই মুসলিম প্রধান রাষ্টে বিশ্বকাপের উদ্ভোদনী অনুষ্ঠান শুরু হলো হিন্দুদের মঙ্গল প্রদিপ জ্বালিয়ে, কি প্রগতিশীল আমরা! ভারতীয় দাদাদের খুশী করতে, আর কত কি না হয় করতে হয় বাকী জীবনে আল্লাহ-ই ভালো জানেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদে তিন ওয়াক্ত নামাযের আযান মাইকে দেওয়া হয়নি, কি এমন ক্ষতি হতো যদি সারা বিশ্ব জানত মসজিদের শহর ঢাকা শহর, আজকে বাংলাদেশে মসজিদে তালা দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটাচ্ছেন কতিপয় রাজনৈতিক নেতা কর্মী, চিন্তা করতেও লজ্জা লাগে আমরা কি আসলেই মুসলিম ? মসজিদ ভেঙে জায়গা দখল করছেন রাজনৈতিক নেতা। বায়তুল মোকাররম
মসজিদে পুলিশ জুতা পায়ে ঢুকে বেদড়ক পিটিয়েছে মুসল্লিদের, শুধু কি তাই,প্রকাশ্যে রাস্তায় উলঙ্গ করেছে আলেম-ওলামাদের, তবুও আমরা মুসলিম, নামের আগে পরে ইসলামী রীতি! ঈদের জামাতে প্রথম কাতারে ভারী সাজু-গুজু করে, কোরবানীতে লক্ষ টাকার গরু কিনে মিডিয়ার নজরে আসা, আরো কত কি ? ইসলামী ফাউন্ডেশনের সরকারের অধিনে একটি ইসলামী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই জানেন এদেশের জনগণ, অথচ সেখানেই করা হলো মার্কিন তরুন তরুনীর অশ্লীন নাচ,
ভাবতে খুব ভালো লাগে আমরা দিন দিন খুব বেশী আধুনিক হচ্ছি মনে হয়! নারী পুরুষের সম-অধিকারের নামে কোরানের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছে সরকার, এর পরও আমরা মুসলিম, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান রাষ্ট ?
এত অবহেলা, এত নিষিদ্ধের চেয়ে বাংলাদেশে ইসলামকেই নিষিদ্ধ করা হোক, বাংলাদেশের ৮৮% মুসলিম পরিচয়ের চেয়ে, বাংলাদেশ ৮৭% মুনাফেকের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করাই শ্রেয়!
ধর্মনিরপেক্ষ আবার সাথে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম! মহান আল্লাহর উপর আস্থা রাখা যাবেনা, আবার সাথে বিসমিল্লাহ! মনে হচ্ছে ইসলাম যেন শুধু তৃতীয় তম নয়, ১০১তম পার্সেন সিংগুলার নাম্বার। অনেকটা করুনার মত! যে দেশে ৮৮% মুসলিম সে দেশে ইসলাম কে নিয়ে এত টানা হেঁছড়া কেন ? যে দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট সে দেশটিতে ইসলামের এত অবমাননা কেন ? এভাবে ইসলামকে অপদস্থ না করে বাংলাদেশে ইসলামকেই নিষিদ্ধ করা হোক, "মহান আল্লাহর উপর আস্থা" যে সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সেখানে ইসলাম, বিসমিল্লাহ কিসের ? আর আমরাও মুসলিম কিসের ?
No comments :
Post a Comment