ফ্যাশন হাউস অঞ্জনসের ডিজাইনার শাহীন আহম্মেদ বলেন, 'শিশুর বৈশাখী পোশাক রঙিন হলেই ভালো। পোশাকের নকশা ও কাজ মোটেও ভারী হবে না। যত হালকা রাখা যায় শিশুর ততই স্বস্তি।' তাই শিশুর পোশাক কেনার আগে হালকা মোটিফ, কাজ ও কাপড়কে প্রাধান্য দিন। এতে শিশুর বৈশাখ ও গরম দুটোই উপভোগ্য হবে।
এবার ফ্যাশন হাউসগুলো এনেছে শিশুদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, ফ্রক, টি-শার্ট, টপস, স্কার্ট, থ্রিপিস প্রভৃতি। এবার টি-শার্ট গুরুত্ব দিয়ে করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। যেমন_ডুয়েটঅ্যাড ঐতিহ্য এনেছে নতুন ৬০টি ডিজাইনের টি-শার্ট। শার্টগুলো মজার মজার ছড়া আর ছবিতে রাঙানো। অঞ্জন'স, এড্রয়েট, রঙ, মেঘ, তহু'স ক্রিয়েশন্স, চরকা, বাংলার মেলা, ফড়িং প্রভৃতি ফ্যাশন হাউসেই পাবেন সব ধরনের পোশাক।
পোশাকের মোটিফে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বৈশাখের নানা চিত্র, লোকশিল্প, লোকজ উপাদান প্রভৃতি। আর রঙে প্রাধান্য পেয়েছে লাল, সাদা, কোড়া, কমলা, নীল, সবুজ ইত্যাদি। করা হয়েছে প্রিন্ট, ব্লক, অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি, স্প্রে, হাতের কাজ প্রভৃতি।
এড্রয়েটের ডিজাইনার শেখ সেলিম বলেন, 'ছেলে-মেয়ে উভয়েই ফ্রক, ফতুয়া, টি-শার্টের সঙ্গে জিনস প্যান্ট পরতে পারে। কামিজ, পাঞ্জাবি ইত্যাদির মতো পোশাকের সেট মেলানোই থাকে। আর জুতার বেলায় জিনস প্যান্টের সঙ্গে মেয়েরা হালকা পাম্প শু আর ছেলেরা কেডস পরতে পারে।' কোনো কোনো হাউসে আবার পাবেন বড়দের সঙ্গে মিলিয়ে ছোটদের পোশাক, যুগলবন্দি আর পারিবারিক পোশাক।
পোশাকগুলো বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাবেন। দাম ডিজাইনভেদে বিভিন্ন রকম। টি-শার্ট পাবেন ৭০-২৫০ টাকায়, পাঞ্জাবি ২০০-৮০০, সালোয়ার-কামিজ ৩৫০-১০০০, ফতুয়া ১৫০-৫৫০, শাড়ি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
No comments :
Post a Comment