আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াছাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তায়ালার নিরানব্বইটি (এক কম একশ) নাম
রয়েছে, যে উহা গণনা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী হাদীস নং-২৫৩১,
মুসলিম হাদীস নং-৪৮৩৬) আল-কোরআন ও সুন্নাহ অনুসন্ধান করে আল্লাহর যে সমস্ত
নাম জানা যায় তা নিম্নরূপঃ-
উচ্চারণ অর্থঃ
১.আল্লাহ - আল্লাহ
২.আর-রাহমান - পরম করুণাময়
৩.আর-রাহীম (আর-রাউফ) - পরম দয়াময়, অত্যন্ত দয়ালু
৪.আল-মালিক - মহাধিপতি, মহাসম্রাট বা মহাবাদশা
৫.আল-কুদ্দুস(আত-তাইব) - মহা পবিত্র
৬.আস-সালাম - পরম শান্তিদাতা, কল্যাণময়
৭.আল-মু'মিন - নিরাপত্তাদানকারী
৮.আল-মুহাইমিন -নিয়ন্ত্রণকারী, রক্ষক
৯.আল-আযীয - মহাপরাক্রমশালী
১০.আল-জাব্বার - মহাশক্তিধর
১১.আল-মুতাকাব্বির - মহা গৌরাবাম্বিত
১২.আল-খালেক - স্রষ্টা, সৃষ্টিকর্তা
১৩.আল-বারী - সৃজনকারী, গঠনকারী
১৪.আল-মুসাওয়ির - আকারদাতা
১৫.আল-গাফূর - মহাক্ষমাশীল, মার্জনাকারী (পাপ)
১৬.আল-কাহহার - অসীম ক্ষমতাবান, সকল কিছুর উপর বিজেতা
১৭.আল-ওহহাব - পুরস্কার দাতা
১৮.আর-রাযযাক - রিযিকদাতা
১৯.আল-ফাত্তাহ - মহাবিজয়ী
২০.আল-আলীম (আল-হাকীম) -সর্বজ্ঞ, মহাজ্ঞানী
২১.আল-কাবেদ - হরণকারী, সংকোচনকারী
২২.আল-বাসেত - সম্প্রসারণকারী
২৩.আল-খাফেদ - রোধকারী
২৪.আর-রাফে’য় - উন্নতি দানকারী, উত্তোলনকারী
২৫.আল-মুয়ি’য - সম্মান দানকারী
২৬.আল-মুযিল্ল - হীনতাদানকারী
২৭.আস-সামী’য় - শ্রোতা, শ্রবণকারী
২৮.আল-বাসীর - মহাদ্রষ্টা, মহাদর্শনকারী
২৯.আল-হাকাম (আল-আদল)( আদ-দায়ন) -মহাবিচারক, ন্যয় বিচারক
৩০.আল-লাতীফ - সুক্ষদর্শী,অনুগ্রহশীল
৩১.আল-খাবীর - সর্বজ্ঞানময়, মহাসংবাদ রক্ষক
৩২.আল-হালীম - ধৈর্য্যশীল, অচঞ্চল
৩৩.আল-আযীম(আস-সুব্বুহ) - মহিমাময়, সুমহান, মহা মহিম
৩৪.আশ-শাকূর -অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, কৃতজ্ঞতাপ্রিয়
৩৫.আল-আলীউ(আল-আলা) - সুউচ্চ, সুমহান, সর্বোচ্চ
৩৬.আল-কাবীর - সুবিশাল, সুবৃহৎ
৩৭.আল-হাফীজ - মহারক্ষক, রক্ষাকর্তা
৩৮.আল-মুকীত - ভরণ পোষণ দানকারী
৩৯.আল-হাসীব(আল-মুহসী) - গণনাকারী, হিসাবরক্ষক
৪০.আল-জালীল(আল-আকরাম)-সম্মানিত, মহিমান্বিত, সর্বাধিক সম্মানিত
৪১.আল-কারীম - মহা অনুগ্রহশীল, অত্যন্ত মহৎ
৪২.আর-রাকীব - অতন্দ্র প্রহরী
৪৩.আল-মুজীব - উত্তর প্রদানকারী, প্রার্থনা কবুলকারী
৪৪.আল-ওয়াসে'য় - বিস্তারকারী, মহা প্রশস্ত
৪৫.আল-ওয়াদুদ (আর-রাফিক) -মহত্তম বন্ধু, প্রিয়তম, মহান বন্ধু
৪৬.আল-মাজীদ - মহিমান্বিত, মহাগৌরবাম্বিত
৪৭.আল-বা'য়েছ - পুনরূথানকারী
৪৮.আশ-শাহীদ - মহাস্বাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী
৪৯.আল-হাক - চরমসত্য
৫০.আল-ওয়াকীল - মহাপ্রতিনিধি
৫১.আল-কাওয়ী - প্রবল শক্তিধর, চরম শক্তিমান
৫২.আল-মাতীন - দৃঢ়শক্তির অধিকারী, অটল
৫৩.আল-ওলী (আল-মাওলা) - মহা অভিভাবক, রক্ষণাবেক্ষণকারী
৫৪.আল-হামীদ - মহাপ্রসংসিত,
৫৫.আল-মুবদী - প্রথম আবিষ্কারক
৫৬.আল-মু‘য়ীদ - পুনঃপ্রত্যাবর্তনকারী
৫৭.আল-মুহয়ী - জীবনদাতা
৫৮.আল-মুমীত - মৃত্যুদাতা
৫৯.আল-হাইউ - চিরঞ্জীব, চিরজীবন্ত, অমৃত
৬০.আল-কাইয়ুম (আল-বাকী) - চিরস্থায়ী, অনন্ত, অমর
৬১.আল-ওয়াজেদ সর্ব বিষয়ে ইচ্ছা করা মাত্র প্রাপ্ত
৬২.আল-আহাদ (ওয়াহেদ)( আল-ওয়াতীর) -একক, অদ্বিতীয়, বেজোড়
৬৩.আস-সামাদ - অপ্রত্যাশী, অভাবহীন, অমুখাপেক্ষী
৬৪.আল-কাদের - মহাশক্তিধর, সামর্থবান
৬৫.আল-মুকতাদির - সার্বভৌমত্বের অধিকারী
৬৬.আল-মুকাদ্দিম - অগ্রসরকারী
৬৭.আল-মুয়াখখির - পশ্চাতে প্রেরণকারী
৬৮.আল-আওয়াল - আদি, প্রথম
৬৯.আল-আখের - অনন্ত, শেষ
৭০.আয-জাহের (আল-মুবাইনু) -দৃশ্যমান, প্রকাশ্য, সুস্পষ্টকারী প্রকাশকারী
৭১.আল-বাতেন - অপ্রকাশ্য, গোপন
৭২.আল-মুতা'ওয়ালী - চিরউন্নত
৭৩.আল-বার্র - মহা কল্যানদাতা
৭৪.আত-তাওয়াব - মার্জনাকারী, তওবা কবুলকারী
৭৫.আল-মুনতাকিম - প্রতিফলদাতা
৭৬.আল-আফূ - অত্যন্ত ক্ষমাশীল, উদারতা প্রদর্শণকারী
৭৭.আল-মুকসিত - ন্যায়পরায়ন
৭৮.আল-জামে'য় - একত্রকারী (কিয়ামতের দিন)
৭৯.আল-গানী -ঐশ্বর্যশালী, স্বয়ংসম্পূর্ন, অমুখাপেক্ষী
৮০.আল-মুগণী - অভাবমোচনকারী
৮১.আল-মানে'য় - নিষেধকারী, রহিতকারী
৮২.আদ-দার্র - বিপদদাতা, দুঃখ-কষ্টদাতা
৮৩.আন-নূর - জ্যোতি, আলোকময়, দীপ্তিময়
৮৪.আল-হাদী - সুপথ প্রদর্শক, হিদায়াতদানকারী
৮৫.আল-বাদী'য় - সর্বপ্রথম সৃষ্টিকর্তা
৮৬.আল-ওয়ারেছ - উত্তরাধীকারী
৮৭.আর-রাশীদ - সৎনির্দেশ, সুপথ প্রদর্শক
৮৮.আস-সাবুর - পরম সহিষ্ণ, ধৈয্যশীল
৮৯.আর-রাব - প্রতিপালক
৯০.আল-হান্নান - স্নেহশীল, সহানুভূতিশীল
৯১.আল-মান্নান (আল-মুহসিন) - অনুগ্রহকারী, মহাঅনুগ্রহকারী
৯২.আস-সাত্তার - দোষ-ত্রুটি গোপনকারী
৯৩.আশ-শাফী - আরোগ্য দানকারী
৯৪.আল-মু‘য়তি(আল-যাওয়াদ) -পরমদাতা, দয়াশীল, উদার দানশীল
৯৫.আল-মুন‘য়িম - উপকারক, হিতৈষী
৯৬.আন-নাসীর - সাহায্যকারী
৯৭.আল-কারীব - সর্বাধিক নিকটবর্তী
৯৮.আল-মুসাওয়ীর - মূল্য নির্ধারণকারী
৯৯.আল-ইলাহ - মা'বুদ, উপাস্য
হাদীছে যে বলা হয়েছেঃ 'যে ব্যক্তি উহা গণনা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এর অর্থ হচ্ছে, সে অনুযায়ী আমল করবে। যেমনঃ- হাকীম =মহাবিজ্ঞ। বান্দা যখন নিজের যাবতীয় বিষয় আল্লাহর কাছে সর্মপণ করবে তখনই এ নামের উপর আমল হবে। কেননা সকল বিষয় তারই হেকমত পান্ডিত্যেই হয়ে থাকে। বান্দা যখন বলবে আল-কুদ্দুছ = মহা পবিত্র, তখন অন্তরও অনুভব করবে যে, তিনি যাবতীয় দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র।
আল্লাহর এই যে নিরানব্বই নাম তা কিন্তু আল্লাহর গুণ, প্রকৃত স্বরুপ নয়; কেননা গুন হতে বস্তু পৃথক। শিখার জ্যোতি যেমন প্রকৃত শিখা নয়, আল্লাহর গুন ও তেমনি আল্লাহ নয়। আল্লাহ হচ্ছেন আসল সত্ত্বা (ইসমে যাত), বাকি নামগুলো তার বিষেশণ (ইসমে সিফাত)। আল্লাহকে কেন্দ্র করে নামগুলি চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে। প্রশ্ন উঠতে পারে তবে কি আল্লাহ তা'য়ালা নিরানব্বই নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ? নিশ্চয় নয়। গুণের সংখ্যা নির্ণয় করলে তো আল্লাহ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন। আল্লাহ তাই শুধু এগুণগুলোর মধ্যেই সীমিত নহেন; এর বাইরে ও তিনি। মানুষের জ্ঞান সসীম; কাজেই আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি যতদুর নাগাল পায় ততদুর পর্যন্তই আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছেন। এবং সকল পরিচয়ের উর্দ্ধে নিজের স্বরুপ বর্ণনা করেছেনঃ- কোন কিছুই তার সদৃশ নহে; তিনি সর্বদ্রষ্টা সর্বশ্রোতা।(সূরা-শুয়ারা, আয়াত-১১)। আল্লাহর আসলিয়াৎ বুঝবার শক্তি মানুষের নেই; গুণ দ্বারা সেই পরম সত্ত্বাকে বুঝতে হবে। কাজেই আল্লাহর স্বরুপ উপলব্ধির জন্য তার নামগুলো ও তার অর্থ জানা দরকার এবং এসব নামগুলোর পূর্বে আবদ (বান্দ বা দাস) শব্দ যোগ করে কোন বান্দার নামকরণ আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। এই পছন্দের বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর কাছে তোমাদের নামগুলীর মধ্যে সব থেকে প্রিয়তম নাম 'আব্দুল্লাহ ও 'আব্দুর-রাহমান। (বুখারী (আদাবুল মুফরাদ)হাদীস নং-৮১৪,মুসলিম হাদীস নং-১২৩৫)
১০. আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর মধ্যে পার্থক্য কি? (সাহায্য প্রার্থনা) এবং (শপথ) এর ক্ষেত্রে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী উভয়ই ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে আলাদা আলাদা কিছূ পার্থক্য আছে। যেমনঃ- প্রথমতঃ কিছু কিছু নাম আছে যেগুলো দ্বারা শুধু দু'আর ক্ষেত্রে এবং গোলাম বা দাস হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু উক্ত উদ্দেশ্যে গুণাবলী ব্যবহার করা যাবে না। যেমনঃ- আল-কারীম, এই নামের দাস হয়ে নাম রাখা যাবে আব্দুল কারীম (মহা অনুগ্রহশালীর দাস)। এমনিভাবে এই নাম ধরে দু‘আ করবে। বলবেঃ ইয়া-কারীম (হে অনুগ্রহকারী)। কিন্তু এরুপ বলা যাবে না ইয়া-কারীমআল্লাহ (হে আল্লাহর অনুগ্রহ)। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বুঝার তাউফিক দান করুন।
উচ্চারণ অর্থঃ
১.আল্লাহ - আল্লাহ
২.আর-রাহমান - পরম করুণাময়
৩.আর-রাহীম (আর-রাউফ) - পরম দয়াময়, অত্যন্ত দয়ালু
৪.আল-মালিক - মহাধিপতি, মহাসম্রাট বা মহাবাদশা
৫.আল-কুদ্দুস(আত-তাইব) - মহা পবিত্র
৬.আস-সালাম - পরম শান্তিদাতা, কল্যাণময়
৭.আল-মু'মিন - নিরাপত্তাদানকারী
৮.আল-মুহাইমিন -নিয়ন্ত্রণকারী, রক্ষক
৯.আল-আযীয - মহাপরাক্রমশালী
১০.আল-জাব্বার - মহাশক্তিধর
১১.আল-মুতাকাব্বির - মহা গৌরাবাম্বিত
১২.আল-খালেক - স্রষ্টা, সৃষ্টিকর্তা
১৩.আল-বারী - সৃজনকারী, গঠনকারী
১৪.আল-মুসাওয়ির - আকারদাতা
১৫.আল-গাফূর - মহাক্ষমাশীল, মার্জনাকারী (পাপ)
১৬.আল-কাহহার - অসীম ক্ষমতাবান, সকল কিছুর উপর বিজেতা
১৭.আল-ওহহাব - পুরস্কার দাতা
১৮.আর-রাযযাক - রিযিকদাতা
১৯.আল-ফাত্তাহ - মহাবিজয়ী
২০.আল-আলীম (আল-হাকীম) -সর্বজ্ঞ, মহাজ্ঞানী
২১.আল-কাবেদ - হরণকারী, সংকোচনকারী
২২.আল-বাসেত - সম্প্রসারণকারী
২৩.আল-খাফেদ - রোধকারী
২৪.আর-রাফে’য় - উন্নতি দানকারী, উত্তোলনকারী
২৫.আল-মুয়ি’য - সম্মান দানকারী
২৬.আল-মুযিল্ল - হীনতাদানকারী
২৭.আস-সামী’য় - শ্রোতা, শ্রবণকারী
২৮.আল-বাসীর - মহাদ্রষ্টা, মহাদর্শনকারী
২৯.আল-হাকাম (আল-আদল)( আদ-দায়ন) -মহাবিচারক, ন্যয় বিচারক
৩০.আল-লাতীফ - সুক্ষদর্শী,অনুগ্রহশীল
৩১.আল-খাবীর - সর্বজ্ঞানময়, মহাসংবাদ রক্ষক
৩২.আল-হালীম - ধৈর্য্যশীল, অচঞ্চল
৩৩.আল-আযীম(আস-সুব্বুহ) - মহিমাময়, সুমহান, মহা মহিম
৩৪.আশ-শাকূর -অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, কৃতজ্ঞতাপ্রিয়
৩৫.আল-আলীউ(আল-আলা) - সুউচ্চ, সুমহান, সর্বোচ্চ
৩৬.আল-কাবীর - সুবিশাল, সুবৃহৎ
৩৭.আল-হাফীজ - মহারক্ষক, রক্ষাকর্তা
৩৮.আল-মুকীত - ভরণ পোষণ দানকারী
৩৯.আল-হাসীব(আল-মুহসী) - গণনাকারী, হিসাবরক্ষক
৪০.আল-জালীল(আল-আকরাম)-সম্মানিত, মহিমান্বিত, সর্বাধিক সম্মানিত
৪১.আল-কারীম - মহা অনুগ্রহশীল, অত্যন্ত মহৎ
৪২.আর-রাকীব - অতন্দ্র প্রহরী
৪৩.আল-মুজীব - উত্তর প্রদানকারী, প্রার্থনা কবুলকারী
৪৪.আল-ওয়াসে'য় - বিস্তারকারী, মহা প্রশস্ত
৪৫.আল-ওয়াদুদ (আর-রাফিক) -মহত্তম বন্ধু, প্রিয়তম, মহান বন্ধু
৪৬.আল-মাজীদ - মহিমান্বিত, মহাগৌরবাম্বিত
৪৭.আল-বা'য়েছ - পুনরূথানকারী
৪৮.আশ-শাহীদ - মহাস্বাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী
৪৯.আল-হাক - চরমসত্য
৫০.আল-ওয়াকীল - মহাপ্রতিনিধি
৫১.আল-কাওয়ী - প্রবল শক্তিধর, চরম শক্তিমান
৫২.আল-মাতীন - দৃঢ়শক্তির অধিকারী, অটল
৫৩.আল-ওলী (আল-মাওলা) - মহা অভিভাবক, রক্ষণাবেক্ষণকারী
৫৪.আল-হামীদ - মহাপ্রসংসিত,
৫৫.আল-মুবদী - প্রথম আবিষ্কারক
৫৬.আল-মু‘য়ীদ - পুনঃপ্রত্যাবর্তনকারী
৫৭.আল-মুহয়ী - জীবনদাতা
৫৮.আল-মুমীত - মৃত্যুদাতা
৫৯.আল-হাইউ - চিরঞ্জীব, চিরজীবন্ত, অমৃত
৬০.আল-কাইয়ুম (আল-বাকী) - চিরস্থায়ী, অনন্ত, অমর
৬১.আল-ওয়াজেদ সর্ব বিষয়ে ইচ্ছা করা মাত্র প্রাপ্ত
৬২.আল-আহাদ (ওয়াহেদ)( আল-ওয়াতীর) -একক, অদ্বিতীয়, বেজোড়
৬৩.আস-সামাদ - অপ্রত্যাশী, অভাবহীন, অমুখাপেক্ষী
৬৪.আল-কাদের - মহাশক্তিধর, সামর্থবান
৬৫.আল-মুকতাদির - সার্বভৌমত্বের অধিকারী
৬৬.আল-মুকাদ্দিম - অগ্রসরকারী
৬৭.আল-মুয়াখখির - পশ্চাতে প্রেরণকারী
৬৮.আল-আওয়াল - আদি, প্রথম
৬৯.আল-আখের - অনন্ত, শেষ
৭০.আয-জাহের (আল-মুবাইনু) -দৃশ্যমান, প্রকাশ্য, সুস্পষ্টকারী প্রকাশকারী
৭১.আল-বাতেন - অপ্রকাশ্য, গোপন
৭২.আল-মুতা'ওয়ালী - চিরউন্নত
৭৩.আল-বার্র - মহা কল্যানদাতা
৭৪.আত-তাওয়াব - মার্জনাকারী, তওবা কবুলকারী
৭৫.আল-মুনতাকিম - প্রতিফলদাতা
৭৬.আল-আফূ - অত্যন্ত ক্ষমাশীল, উদারতা প্রদর্শণকারী
৭৭.আল-মুকসিত - ন্যায়পরায়ন
৭৮.আল-জামে'য় - একত্রকারী (কিয়ামতের দিন)
৭৯.আল-গানী -ঐশ্বর্যশালী, স্বয়ংসম্পূর্ন, অমুখাপেক্ষী
৮০.আল-মুগণী - অভাবমোচনকারী
৮১.আল-মানে'য় - নিষেধকারী, রহিতকারী
৮২.আদ-দার্র - বিপদদাতা, দুঃখ-কষ্টদাতা
৮৩.আন-নূর - জ্যোতি, আলোকময়, দীপ্তিময়
৮৪.আল-হাদী - সুপথ প্রদর্শক, হিদায়াতদানকারী
৮৫.আল-বাদী'য় - সর্বপ্রথম সৃষ্টিকর্তা
৮৬.আল-ওয়ারেছ - উত্তরাধীকারী
৮৭.আর-রাশীদ - সৎনির্দেশ, সুপথ প্রদর্শক
৮৮.আস-সাবুর - পরম সহিষ্ণ, ধৈয্যশীল
৮৯.আর-রাব - প্রতিপালক
৯০.আল-হান্নান - স্নেহশীল, সহানুভূতিশীল
৯১.আল-মান্নান (আল-মুহসিন) - অনুগ্রহকারী, মহাঅনুগ্রহকারী
৯২.আস-সাত্তার - দোষ-ত্রুটি গোপনকারী
৯৩.আশ-শাফী - আরোগ্য দানকারী
৯৪.আল-মু‘য়তি(আল-যাওয়াদ) -পরমদাতা, দয়াশীল, উদার দানশীল
৯৫.আল-মুন‘য়িম - উপকারক, হিতৈষী
৯৬.আন-নাসীর - সাহায্যকারী
৯৭.আল-কারীব - সর্বাধিক নিকটবর্তী
৯৮.আল-মুসাওয়ীর - মূল্য নির্ধারণকারী
৯৯.আল-ইলাহ - মা'বুদ, উপাস্য
হাদীছে যে বলা হয়েছেঃ 'যে ব্যক্তি উহা গণনা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এর অর্থ হচ্ছে, সে অনুযায়ী আমল করবে। যেমনঃ- হাকীম =মহাবিজ্ঞ। বান্দা যখন নিজের যাবতীয় বিষয় আল্লাহর কাছে সর্মপণ করবে তখনই এ নামের উপর আমল হবে। কেননা সকল বিষয় তারই হেকমত পান্ডিত্যেই হয়ে থাকে। বান্দা যখন বলবে আল-কুদ্দুছ = মহা পবিত্র, তখন অন্তরও অনুভব করবে যে, তিনি যাবতীয় দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র।
আল্লাহর এই যে নিরানব্বই নাম তা কিন্তু আল্লাহর গুণ, প্রকৃত স্বরুপ নয়; কেননা গুন হতে বস্তু পৃথক। শিখার জ্যোতি যেমন প্রকৃত শিখা নয়, আল্লাহর গুন ও তেমনি আল্লাহ নয়। আল্লাহ হচ্ছেন আসল সত্ত্বা (ইসমে যাত), বাকি নামগুলো তার বিষেশণ (ইসমে সিফাত)। আল্লাহকে কেন্দ্র করে নামগুলি চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে। প্রশ্ন উঠতে পারে তবে কি আল্লাহ তা'য়ালা নিরানব্বই নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ? নিশ্চয় নয়। গুণের সংখ্যা নির্ণয় করলে তো আল্লাহ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন। আল্লাহ তাই শুধু এগুণগুলোর মধ্যেই সীমিত নহেন; এর বাইরে ও তিনি। মানুষের জ্ঞান সসীম; কাজেই আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি যতদুর নাগাল পায় ততদুর পর্যন্তই আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছেন। এবং সকল পরিচয়ের উর্দ্ধে নিজের স্বরুপ বর্ণনা করেছেনঃ- কোন কিছুই তার সদৃশ নহে; তিনি সর্বদ্রষ্টা সর্বশ্রোতা।(সূরা-শুয়ারা, আয়াত-১১)। আল্লাহর আসলিয়াৎ বুঝবার শক্তি মানুষের নেই; গুণ দ্বারা সেই পরম সত্ত্বাকে বুঝতে হবে। কাজেই আল্লাহর স্বরুপ উপলব্ধির জন্য তার নামগুলো ও তার অর্থ জানা দরকার এবং এসব নামগুলোর পূর্বে আবদ (বান্দ বা দাস) শব্দ যোগ করে কোন বান্দার নামকরণ আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। এই পছন্দের বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর কাছে তোমাদের নামগুলীর মধ্যে সব থেকে প্রিয়তম নাম 'আব্দুল্লাহ ও 'আব্দুর-রাহমান। (বুখারী (আদাবুল মুফরাদ)হাদীস নং-৮১৪,মুসলিম হাদীস নং-১২৩৫)
১০. আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর মধ্যে পার্থক্য কি? (সাহায্য প্রার্থনা) এবং (শপথ) এর ক্ষেত্রে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী উভয়ই ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে আলাদা আলাদা কিছূ পার্থক্য আছে। যেমনঃ- প্রথমতঃ কিছু কিছু নাম আছে যেগুলো দ্বারা শুধু দু'আর ক্ষেত্রে এবং গোলাম বা দাস হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু উক্ত উদ্দেশ্যে গুণাবলী ব্যবহার করা যাবে না। যেমনঃ- আল-কারীম, এই নামের দাস হয়ে নাম রাখা যাবে আব্দুল কারীম (মহা অনুগ্রহশালীর দাস)। এমনিভাবে এই নাম ধরে দু‘আ করবে। বলবেঃ ইয়া-কারীম (হে অনুগ্রহকারী)। কিন্তু এরুপ বলা যাবে না ইয়া-কারীমআল্লাহ (হে আল্লাহর অনুগ্রহ)। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বুঝার তাউফিক দান করুন।
No comments :
Post a Comment