হযরত আবু মুসা
রদিয়াল্লহু আ’নহু (ابىْ موْسى رضى الله عنْه) হইতে
বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম
এরশাদ করিয়াছেন, আল্লহ তায়া’লা আমাকে ইলম ও হেদায়েতের সহিত
প্রেরণ করিয়াছেন, উহার দৃষ্টান্ত সেই বৃষ্টির ন্যায় যাহা
কোন জমিনের উপর মুষলধারে বর্ষিত হয় (আর যে জমিনের উপর
বৃষ্টি বর্ষিত হইল উহা তিন প্রকারের ছিল।) (১) উহার এক
টুকরা অতি উত্তম ছিল, যাহা পানিকে নিজের ভিতরে শোষণ করিয়া
লইল, অতঃপর যথেষ্ট পরিমাণ ঘাস ও শষ্য উৎপন্ন করিল। (২) জমিনের অপর
টুকরা কঠিন ছিল, (যে পানিকে শোষণ তো করিল না, কিন্তু) উহার
উপর পানি জমিয়া রহিল। আল্লহ তায়া’লা উহার দ্বারাও লোকদের
উপকার করিলেন। তাহারা নিজেরাও পান করিল, পশুদেরও পান করাইল
এবং ক্ষেত কৃষিও করিল। (৩) সেই বৃষ্টি জমিনের এমন এক
টুকরার উপরও বর্ষিত হইল যাহা খোলা ময়দান ছিল, যাহা না পানি
জমা করিয়া রাখিল না ঘাস উৎপন্ন করিল।
এমনি ভাবে মানুষও তিন প্রকারের
হইয়া থাকে। প্রথম) দৃষ্টান্ত সেই ব্যাক্তির, যে দ্বীনের
বুঝ হাসিল করিল এবং যে হেদায়েত সহকারে আল্লহ তায়া’লা আমাকে
প্রেরণ করিয়াছেন উহা দ্বারা আল্লহ তায়া’লা তাহাকে উপকৃত
করিলেন। সে নিজেও শিক্ষা করিল এবং অপরকেও শিক্ষা দিল। (দ্বিতীয়
দৃষ্টান্ত সে ব্যক্তির যে নিজেতো ফায়দা হাসিল করে নাই
কিন্তু অন্যেরা তাহার দ্বারা ফায়দা পাইয়াছে।) (তৃতীয়
দৃষ্টান্ত) সেই ব্যক্তির যে উহার প্রতি মাথা উঠাইয়াও দেখিল
না, আর না আল্লহ তায়া’লার সেই হেদায়েত কে গ্রহণ করিল,
যাহার সহিত আল্লহ তায়া’লা আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন। (বুখারী)