যেমনিভাবে আমরা (আরবীতে
সম্মান প্রকাশ করতে একবচনের কর্তার সাথে বহু বচন বাচক শব্দ
ব্যবহার করা হয়) (কা’বা কে কেবলা নির্ধারণ করিয়া
তোমাদের উপর আপন নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করিয়াছি, তেমনিভাবে)
আমরা তোমাদের মধ্যে একজন (মহান) রসুল প্রেরণ করিয়াছি। যিনি
তোমাদেরই মধ্য হইতে একজন, যিনি তোমাদিগকে আমার আয়াতসমূহ
পড়িয়া শুনান, তোমাদিগকে নফসের নাপাকী হইতে পাক করেন,
তোমাদেরকে কুরআন কারীমের তা’লীম দেন এবং এই কুরআনের
ব্যাখ্যা ও আপন সুন্নাত ও তরীকার(ও) তা’লীম দেন, আর
তোমাদিগকে এরূপ (কাজের) কথা শিক্ষা দেন যাহা তোমরা জানিতেও
না (সূরা বাকারাহঃ১৫১)
রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লামকে সম্বধোন করিয়া বলিতেছেন, – আল্লহ তায়া’লা
আপনার উপর কিতাব ও জ্ঞানের বিষয় নাযিল করিয়াছেন এবং আপনাকে
এমন সব বিষয় শিক্ষা দিয়াছেন যাহা আপনি জানিতেন না, আর
আপনার প্রতি আল্লহ তায়া’লার অসীম অনুগ্রহ রহিয়াছে। (সূরা
নিসাঃ১১৩)
রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লামকে সম্বধোন করিয়া বলিতেছেন, – আপনি এই দোয়া
করুন যে, হে আমার রব আমার ইলম বৃদ্ধি করিয়া দিন (সূরা
ত্বহাঃ১১৪)
নিঃসন্দেহে আমরা (আরবীতে
সম্মান প্রকাশ করতে একবচনের কর্তার সাথে বহু বচন বাচক শব্দ
ব্যবহার করা হয়) দাউদ ও সুলাইমানকে ইলম দান করিয়াছি
এবং ইহার পর তাঁহারা উভয় নবী বলিলেন, সমস্ত প্রশংসা সেই
আল্লহ তায়া’লার জন্য যিনি আমাদিগকে আপন বহু ঈমানদার
বান্দাগনের উপর সম্মান দান করিয়াছেন (সূরা নামলঃ১৫)
এবং আমরা এই উদাহরণসমূহ লোকদের
জন্য বর্ণনা করি, কিন্তু জ্ঞানবান ব্যক্তিরাই উহা বুঝিতে
সক্ষম হয়। (সূরা আনকাবুতঃ৪৩)
নিঃসন্দেহে আল্লহ তায়া’লাকে
তাঁহার ওই সকল বান্দারাই ভয় করে, যাহারা তাঁহার আজমত
সম্পর্কে জানে। (সূরা ফাতিরঃ২৮)