মারামারি ভাংচুর বা রাগ দেখানো অনেক মানসিক রোগের সাধারণ উপসর্গ। এ সব মানসি করোগের মধ্যে আছে বাইপোলার এ্যাফেকটিভ ডিস অর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া বিষণœতা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা ইত্যাদি। কিছু কিছু মানুষ পাওয়া যায় যারা এ সবরোগে ভুগছেন না কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ খুব সাধারণ কারণে এমন রেগে যান যে আশপাশের সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন যে তার রেগে যাওয়াটা ঠিক স্বাভাবিক না কিন্তু তিনি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন না। এ মানসিক রোগকে হঠাৎ রেগে যাওয়া বা ইন্টারসিটেন্ট এক্সপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার বলে। এরাগের বৈশিষ্ট্য হল:
০ ব্যক্তি অধিকাংশ সময় তার রাগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে অন্যকে আঘাত করে বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করে।
০ যে ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যক্তি রাগ প্রকাশ করছে সে ঘটনার বিচারে ব্যক্তির রাগের পরিমাণ অত্যš- বেশী।
০ ব্যক্তি অন্য কোন মানসি করোগে বা ব্যক্তিত্বের সমস্যায় ভুগছে না কি কোন মাদকের প্রভাবেও এ ধরণের আচরণ করছে না।
কারণ ও প্রাকোপ: হঠাৎ রেগে যাওয়া রোগের কারণ এখনো সঠিকভঅবে জানা যায়নি। এ রোগের প্রকোপ সম্পকেৃ এখনো তেমন জানা যায় ন্ িতবে এ রোগের প্রকোপ খুব বেশি নয় বলেই ধারণা করা হয়।
সাধারণত: পুরুষের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়। অল্প পরিমাণে হলেও মহিরাদের মধ্যেও এ রোগ দেখা যায়। বিশেষত: মানসিকের ঠিক আগে আগে অনেক মহিলাকে এই রোগে ভুগতে দেখা যায়।
চিকিৎসা: এ রোগের চিকিৎসার জন্য মনোচিকিৎসা ও ঔষধ এ দুযের প্রয়োগের দরকার হয়। মনোচিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে রাগ নিয়ন্ত্রণের নানা কৌশল শেখানো হয়।
এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলোর মধ্যে আছে: বিভিন্ন ধরণেল বিষণœতা বিরোধী ঔষধ ও কার্বামাজোপিন, লিথিযাম, ডাইভেলপ্রো এক্স ইত্যাদি।
বাধ্যতা ধর্মী অসুস্থতা
বাধ্যতা ধর্মী অস্সুথতা কি? এটা একধরণের মানসিক রোগ। এ রোগে কিছু নির্দিষ্ট অস্ব¯ি-কর চিš-া ব্যক্তির মনে ঘুরে ঘুরে বার বার আসে। এসব চিš-া ব্যক্তির নিজের মনেই তৈরী হয়। ব্যক্তি এসব চিš-া মন তেকে দূরে সরাতে চায় পারে না।
কি ধরণের চিš-া মনে আসে? বিভিন্ন ধরণের চিš-া আসে। চিš-াগুলোকে ৫ ভাগে ভাগ করে বর্ণনা করা যায়। এগুলো হচ্ছে জীবানু দ্বারা সংক্রমণের চিš-া, কোন একটা কাজ ঠিকমত করেও তাব করা হয়নি এ ধরণের দ্বিধা, সব কিছু একটা নির্দিষ্ট ভঙ্গীতে সাজানোর ইচ্ছা, কারো ক্ষতি করার ইচ্ছা, অস্বাভাবিক যৌনচিš-া।
শুধু কি ব্যক্তি চিš-াই করে? অনেকের মধ্যে চিš-াটাই থাকে। অধিকাংশ ব্যক্তি এসব চিš-ার হাতথেকে মনকে অন্যদিকে ঘোরাবার জন্র যতগুলো কাজ করে যেমন বার বার ধোয়া, গনণা করা, বার বার পরীক্ষা করা, বার বার তওবা করা, একই কাজ বার বার করা ইত্যাদি। এসবকে বলে কম্পালশান। এগুলোতো আমরা যাকে সূঁচীবাই বলে সে রকম শোনাচ্ছে। হ্যাঁ সূঁচীবাই এ রোগের একটা উপসর্গ। সূঁচীবাইগ্র¯- রোগী বারবার হাতধোয়া বা পরিস্কার পরিছন্নতার বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত সজাগ থাকে।
এ রোগের কারণ কি? আগে মনে করা হত ছোট বেলায় কঠিন শৃংখলা শিক্ষা দেয়ার ফল হিসেবে আরোগের উৎপত্তি হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ তত্ত্ব প্রমাণিত হয়নি। গবেষণায় দেখা গেছে ম¯ি-ষ্কের স্ট্রায়েটাম নামের অংশের গোলমানের ফলে এ রোগের উৎপত্তি হয়।
এ রোগের চিকিৎসা আছে?
হ্যাঁ এ রোগের চিকিৎসা আছে। সাধারণত: ঔষধ ও বিহ্যাভিয়ার থেরাপীর সমন্বয়ে এ রোগরে চিকিৎসা করা হয়। ব্যবহৃত ঔষধগুলেধার মধ্যে আছে: ফ্লুক্সেটিন, সারট্রালিন, ক্লোমিপ্রামিন, ফ্লুভক্সামিন ইত্যাদি। বিহাভিয়ার থেরাপীর ক্ষেত্রে এক্সপোজার এড রেসপন্স প্রিভেনশন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়।
No comments :
Post a Comment