পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সবার জন্য আদায় করা আবশ্যক। এটা আল্লহ্তায়ালার হুকুম। কিন্তু এমন এক নামাজ তিনি আদায় করতে বলেছেন যে নামাজের সঙ্গে বহু সুসংভাদ যুক্ত হয়ে আছে।
আর সেই মহান বরকতময় ইবাদত হলো নামাজে তাহাজ্জুদ। রমজান মাসে যদি অধিক ইবাদত করা যায় তাহলে তা হবে এরজন মু’মিনের জন্য সর্বোত্কৃষ্ট দৃষ্টান্ত। রমজান মাসে নামাজে তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন— যে ব্যক্তি ঈমানের আগ্রহে এবং সওয়াবের নিয়তে রমজানের রাতে উঠে নামাজ আদায় করে তাঁর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। [বুখারী কিতবুস সাওম] এ সম্পর্কে আরো একটি হাদিস উল্লেখযোগ্য তা হলো হজরত রাসুল আকরাম (সা.) বলেছেন—‘আমাদের প্রভু প্রতিপালক আল্লাহ রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে পৃথিবীর আকাশে অবতীর্ণ হন তখন তিনি তাঁর বান্দাদের সম্বোধন করে বলেন, কে আছে যে আমার কাছে কিছু চায় আর আমি তাকে তা দান করি, কে আছে যে আমাকে ডাকে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেই, কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা যাচনা করে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেই। [তিরমিযী]
সুতরাং এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, নামাজে তাহাজ্জুদ খোদা ও তাঁর বান্দার মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টি করার সূতিকাগার, আর রমজান মাসে বেশি বেশি এই ইবাদত করার মাধ্যমে রমজানের মূল উদ্দেশ্য সাধিত হয়।
No comments :
Post a Comment