Blogger Tricks

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বাণী

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হল কলম। অতঃপর মহান আল্লাহ তাকে বললেন, “লিখ”। সে বলল, “হে আমার প্রতিপালক! কি লিখব?” তিনি বললেন, “কেয়ামত সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বস্তুর তাকদীর (অদৃষ্ট লিপি)। যে লোক এর অন্যথায় প্রাণত্যাগ করে সে আমার দলভূক্ত নয়।”আবূ দাঊদ এ হাদীসটি হযরত ইবনে সামিত (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন। আতা (রহ) থেকে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা•)-র সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দুই ব্যক্তি সফরে বের হয়। পথিমধ্যে নামাযের সময় উপনীত হওয়ায় তারা পানি না পাওয়ায় তায়াম্মুম করে নামায আদায় করে। অতঃপর উক্ত নামাযের সময়ের মধ্যে পানি প্রাপ্ত হওয়ায় তাদের একজন উযু করে পুনরায় নামায আদায় করল এবং অপর ব্যক্তি নামায আদায় করা হতে বিরত থাকে। অতঃপর উভয়েই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হয়ে এই ঘটনা বর্ণনা করল। (তিনি (সা•) বলেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তি নামায পুনরায় আদায় করেনি সে সুন্নাত মোতাবেক কাজ করেছে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি উযু করে পুনরায় নামায আদায় করেছে তার সম্পর্কে বলেনঃ তুমি দ্বিগুণ ছওয়াবের অধিকারী হয়েছ। (হাদীস নং-৩৩৮) 
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : তিনটি জিনিস মৃতের পেছনে পেছনে (কবর পর্যন্ত) যায় : তার আত্মীয় পরিজন, ধন সম্পদ ও তার আমল (নেক বা বদ্) অতঃপর দু'টি ফিরে আসে আর একটি (তার সাথে) থেকে যায় । তার আত্মীয় পরিজন ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)। জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “জুম’আর দিনে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোৎবা দিচ্ছিলেন, তখন এক ব্যক্তি মসজিদে এল, তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, সালাত আদায় করেছ কি? সে বলল: না। তিনি বললেন: উঠ দু’রাকা’আত আদায় করে নাও।” [বুখারী: ৯৩০] রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে কুদসীতে আল্লহ তায়া’লা এরশাদ করেন, তুমি খরচ কর, আমি তোমাকে দিব। অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, আল্লহ তায়া’লার হাত অ্থাৎ তাঁহার ভান্ডার ভরপুর রহিয়াছে। রাত্রদিন অনবরত খরচ সেই ভান্ডারকে কমাইতে পারে না। তোমরা কি দেখ না যে, যখন হইতে আল্লহ তায়া’লা আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং (উহার পূর্বেও যখন) তাহার আরশ পানির উপরে ছিল কত খরচ করিয়াছেন! (এতদসত্ত্বেও) তাঁহার ভাণ্ডারে কোন কম হয় নাই। তাকদীরের ভাল-মন্দ, ফয়সালার দাড়িপাল্লা তাহারই হাতে রহিয়াছে। (বুখারী) যুবাইর বিন ‘আদী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
আমরা আনাস বিন মালেক (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট এসে হাজীদের থেকে আমরা যে কষ্ট পাই সে ব্যাপারে আমরা অভিযোগ করলাম। তখন তিনি বললেন: ধৈর্য ধর, তোমাদের সামনে এমন এক সময় আসবে যার বর্তমান দিনের চেয়ে পরবর্তী দিনটি খারাপ হবে, আর এ অবস্থায়ই তোমরা আল্লাহর সাথে মিলিত হবে। আমি এ কথাটি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট থেকে শুনেছি। [বুখারী: কিতাবুল ফিতান, বাব লাইয়াতি যামান ইল্লা আল্লাযী বা'দাহু সারুন মিনহু, মাকতাবাতুস শামেলাহ্ থেকে হাদীস নং- 6541] যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করবে এবং তারাবীহর ছালাত আদায় করবে, তার আগের ও পিছনের পাপ ক্ষমা করা হবে (বুখারী হা/১৯০১) রাসুল (সা:) বলেছেন- তিনটি দোয়া কবুল হয় তাতে সন্দেহ নেই। পিতার দোয়া, মুসাফিরের দোয়া ও মজলুমের দোয়া।

No comments :

Beingbd moved as sohoz-tech