Blogger Tricks

ফল খাবেন না জুস


গ্রীষ্মে বিভিন্ন রসাল ফল পাওয়া যায়। সেই ফল আবার নানা উপায়ে খাওয়া যায়_ছোট করে কেটে ফ্রুট ককটেল তৈরি করে, ভর্তা বানিয়ে, জুস তৈরি করে, আচার বানিয়ে। আবার আস্ত না খেয়ে জুস হিসেবেও খেতে পারেন। ঘরে বানানো জুস বাইরে কেনা জুসের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। আম, জাম, কাঁঠাল, জামরুল, তরমুজ, লেবু, বাঙ্গি, পাকা পেঁপে, কমলা, আঙুর, আনারস, কামরাঙা, মাল্টা, নাশপাতি প্রভৃতি দিয়ে জুস তৈরি করতে পারেন। জুস যদি ছেকে খাওয়া হয়, তাহলে শর্করা ও খাদ্য আঁশের পরিমাণ কমে যাবে।

পুষ্টিগুণ
আম : ২০৭ গ্রাম পাকা আমে ক্যালরি থাকে ১৩৫ কিলোক্যালরি, শর্করা ৩৫ গ্রাম, ক্যারোটিন ৮০৬১ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন 'সি' ৫৭ মিলিগ্রাম। এক কাপ আমের জুসের ওজন যদি ১৬৫ মিলিলিটার হয়, তাতে পাওয়া যাবে ১০৭ কিলোক্যালরি, শর্করা ২৮ গ্রাম, ক্যারোটিন ৬৪২৫ মাইক্রোগ্রাম এবং ভিটামিন 'সি' ৪৬ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ পুষ্টিগত তেমন কোনো পরিবর্তন থাকে না, বরং বেশি হয়।

কমলা : পুষ্টিগত দিক দিয়ে একটি কমলা থেকে আসে ৬২ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৫ গ্রাম, পটাশিয়াম ২৩৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন 'সি' ৭০ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন 'এ' ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম।
অন্যদিকে একটি কমলার জুসে সব কিছুই কম থাকে_৩৯ কিলোক্যালরি, শর্করা ৯ গ্রাম, পটাশিয়াম ১৭২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন 'এ' ১৭২ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন 'সি' ৪৩ মিলিগ্রাম।

খেয়াল রাখুন
যদি একটি আস্ত ফল আর একটি ফলের জুসের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে জুসের পুষ্টিমূল্য অনেক কমে যায়। কিন্তু যেকোনো মিঙ্ড খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ খাবারের তুলনায় অনেক বেশি।

No comments :

Beingbd moved as sohoz-tech