Blogger Tricks

দৃষ্টি শক্তির ক্রমাগত লোপ

লক্ষণ ও উপসর্গঃ
সাধারণত প্রাথমিকভাবে এই রোগের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় না। যতদিনে লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে ততদিনে হয়তো দৃষ্টির ক্ষমতা স্থায়ীভাবে হ্রাস পেতে শুরু করেছে, আর এ কারণেই গ্লাউকোমা আছে কি না সে পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী।

দীর্ঘস্থায়ী গ্লাউকোমা-
১। অশ্রুপূর্ণ এবং বেদনাদায়ক চোখ।
২। অস্পষ্ট দৃষ্টি।
৩। পার্শ্বদেশ এবং প্রান্তিক দৃষ্টি ক্ষমতার লোপ।
৪। মাঝে মধ্যে মাথা ব্যথা।

তীব্র গ্লাউকোমা-
১। চোখে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা।
২। অস্পষ্ট দৃষ্টি।
৩। লাইটের চারপাশে যেন রঙধনুর বর্ণবলয়ের মতো দেখা যায়।
৪। মাথা ব্যথা।
৫। বিতৃষ্ণাবোধ এবং বমি হওয়া।

মধ্যম পর্যায়ের গ্লাউকোমা (কোন আঘাত প্রাপ্তি বা বিশেষ কিছু রোগে ভোগার পর)-
১। অস্পষ্ট দৃষ্টি।
২। মাথা ব্যথা।
৩। লাইটের চারপাশে রঙধনুর বর্ণবলয়ের মতো দেখা যায়।

কী করা উচিতঃ
বাসায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্লাউকোমার কোন চিকিৎসা নেই, আর এ কারণেই চোখের স্থায়ী ক্ষতি রোধে রোগীকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক অবস্থাতেই গ্লাউকোমা আছে কি না সেরকম পরীক্ষা এবং থাকলে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করা উচিত।

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
১। যদি আপনি গ্লাউকোমার লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো দেখে থাকেন সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
২। যদি আপনার গ্লাউকোমা চিহ্নিত করতে না পারায় কোন ডাক্তার ভুল রোগের ওষুধ দিয়ে থাকে।
৩। যদি গ্লাউকোমা রোগের কোন আইড্রপ বা পিল খাবার ফলে আপনি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান যেমন, মাথা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, চোখে বেদনাদায়ক অনুভূতি, অস্পষ্ট দৃষ্টি, তন্দ্রালুভাব, আহারের প্রতি অনীহা, পেট খারাপ, কিডনিতে পাথর হওয়া, কিংবা অল্পতেই রক্ত পড়া, হৃদস্পন্দনে অনিয়মিত গতি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অনিয়ম, পায়ের তালুতে এবং আঙ্গুলে শির শির অনুভব হওয়া, কিংবা আপনার যদি রক্তশূণ্যতা হয়ে থাকে।
৪। আপনি যদি তন্দ্রালু হয়ে উঠেন, যদি ক্লান্তি অনুভব করেন, কিংবা গ্লাউকোমা রোধক আইড্রপ ব্যবহার করার পর যদি নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে আপনার এই পথ্যগুলো হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুসের সমস্যার তৈরি করছে বলে ধরে নিতে পারেন।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেনঃ
১। যদি আপনি ৩৯ কিংবা তদূর্ধ্ব বয়সের হন, সেক্ষেত্রে প্রতি ৩/৪ বছর অন্তর অন্তর আপনার চোখের পরীক্ষা করুন।
২। আপনার পরিবারে কেউ যদি গ্লাউকোমা কিংবা তীব্র ক্ষীণ-দৃষ্টির সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি ১ বা ২ বছর পর পর তার চোখের পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন। আপনার চোখে যদি কখনও তীব্র কোন আঘাত লেগে থাকে, কিংবা আপনি যদি এ্যাজমা কিংবা ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম-এর পথ্য হিসেবে বিষন্নতারোধক কোন ওষুধ সেবন করেন সেক্ষেত্রেও এই পরীক্ষাগুলো আপনার করা উচিত।
৩। আপনার যদি ডায়াবেটিকস থাকে সেক্ষেত্রে ডায়াবেট নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করুন।

No comments :

Beingbd moved as sohoz-tech