এটি
ওয়েবমাস্টারদের জন্য খুবই অপরিহার্য ব্যাপার। যখন একজন ইন্টারনেট
ব্যবহারকারী কোন বিষয় জানার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ বারে কোন শব্দ(কী
ওয়ার্ড) টাইপ করেন এবং এন্টার বাটনে প্রেস করেন, তখন অনেকগুলো সাইটের
ঠিকানা মনিটরে ভেসে আসে যার মধ্যে সে তার জিজ্ঞাসার জবাব পেতে পারেন। সার্চ
রেজাল্টের প্রথম পৃষ্ঠায় দশটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নিজের ওয়েবসাইটকে নিয়ে
আসাই সবার লক্ষ্য থাকে। এর কারণ হিসেবে দেখা যায় ব্যবহারকারীরা সাধারণত
শীর্ষ দশের মধ্যে তার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটকে না পেলে দ্বিতীয় পাতায় না গিয়ে
অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করে পুনরায় সার্চ করেন।সাধারনত ব্যবহারকারী লিস্টের
প্রথম দিকে যেসকল সাইটের ঠিকানা থাকে তার মধ্যেই বেশী প্রবেশ করেন। তাই সকল
ওয়েবমাস্টারই চায় তার সাইটি যেন সার্চ ফলাফল পেইজের প্রথমে থাকে। কিন্তু
প্রশ্ন হলো সাইটগুলির প্রদর্শনের ক্রম নিয়ে যে কেন একটি সাইট আগে এবং অপরটি
পরে আসে এবং কিসের উপর ভিত্তি করে সাইটগুলির অগ্রাধিকার ক্রম করা হয়? এই
প্রশ্নের জবাবে উত্তর আসবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(এস.ই.ও.)।
এস.ই.ও
হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি সাইটকে একটি নিদিষ্ট শব্দ(কী ওয়ার্ড)
এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিনে একটি গুরুত্বপূর্ন পজিশন ধখল করা যায়।
যাতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটি অন্য সাইটকে পেছনে
ফেলে সবার আগে প্রদর্শিত হতে পারে। এই ধরনের সার্চ রেজাল্টকে Organic বা
Natural সার্চ রেজাল্ট বলা হয়। শীর্ষ দশে থাকার মানে হচ্ছে ওয়েবসাইটে বেশি
সংখ্যক ভিজিটর পাওয়া আর বেশি সংখ্যক ভিজিটর মানে হচ্ছে বেশি আয় করা। এজন্য
সবাই মরিয়া হয়ে নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযুক্ত করে
তুলেন।বিভিন্ন আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রতিদিনই এধরনের কাজ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশী অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা অত্যন্ত সফলতার সাথে এ কাজগুলো
করছেন। তবে অনেকের কাছে বিষয়টি প্রায়সময়ই বোধগম্য হয় না, ফলে আগ্রহ থাকার
পরও কিভাবে শুরু করতে হবে তা বুঝে উঠতে পারেন না।
আশুন
একটা মজার বেপার শেয়ার করি, এক দিন একটা ছেলে আমাকে ফোন করে জানতে চাইলো
এস.ই.ও. এর বিষয়ে। এস.ই.ও. এর বিষয়ে সব কিছু বুঝিয়ে বলার পর আমি ঐ ছেলের
কাছ থেকে যে উত্তর পেয়েছিলাম তা হলো “আচছা ভাইয়া আমার এস.ই.ও. শিখার কি
দরকার যেহেতু ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন থেকে আশে সেহেতু আমি একটা সার্চ ইঞ্জিন
দিয়ে দিলেই পারি।” উত্তর শুনে আমি একটু অভাকই হয়েছিলাম এবং ঐ দিন ভালো
ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম যে, পড়ে হয়তো অনেক কিছূই শিখা যায় কিণ্ড এস.ই.ও.
ভালো ভাবে শিখা যায়না।এস.ই.ও. শিখতে হলে আপনাকে ভালো কোন প্রতিষ্ঠান
থেকে হাতে কলমে শিখতে হবে। আপনারা শুনে খুশি হবেন যে, ঐ ছেলেটা এস.ই.ও. ট্রেনিং
নিয়ে শিখার পর এখন প্রতি মাসে ৫০০ ডলার আয় করে ফ্রীলান্সিং করে।সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(এস.ই.ও.)এর সাথে আয়ের একটি বিশাল ক্ষেত্র জড়িত। সূতরাং
আপনি কেন এই সুযোগ মিস্ করবেন।
No comments :
Post a Comment