বাসটা ঠিক ভার্সিটির গেটের কাছে থামতেই সুমন নেমে পড়লো । বাসা থেকে বের
হওয়ার সময় নাস্তা করা হয় নি । ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন থেকে নাস্তা করে নিতে
হবে । এক টানা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ক্লাস । এখন নাস্তা না করলে আর নাস্তা
করার সুযোগ পাবে না ।
সুমন তাড়াতাড়ি ক্যান্টিনের দিকে পা বাড়ায় । ক্যান্টিনটা ওর ডিপার্টামেন্টের যাওয়ার পথেই পড়ে । ক্যান্টিনের দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে সুমনের চোখ হঠাৎ করেই বা পাশের গেটটার দিকে চলে গেল । ঠিক ক্যান্টিনের পাশেই একটা পুরানো গেট আছে । বন্ধ থাকে সব সময় । আসলে গেটটার ও পাশে একটা সরকারি স্কুল আছে । আগে গেটটা খোলাই থাকতো কিন্তু ভার্সটি কর্তৃপক্ষ গেট টা বন্ধ করে দিয়েছে । সুমনের দৃষ্টি গেটটার দিকে যায় নি গেছে গেট টার সামনে দাড়ানো একটা ছেলেটার দিকে ।
ছেলেটা ওদের ডিপার্টমেন্টের । আবীর নাম । একটু পাগলা কিসিমের । সারাক্ষন মাথায় সব অদ্ভুদ চিন্তা ভাবনা কাজ করে ! সুমন ক্যান্টিনের গেট থেকেই আবীর দিকে তাকালো । একটু অবাকও হল বটে । এই সকাল বেলা করে আবীর এই বন্ধ গেট টার সামনে কি করে ।
আবীর বন্ধ গেট টার থেকে একটু দুরে চুপ চাপ দাড়িয়ে আছে ওর ডান হাতটা মুঠো করে বুকের বাঁ পাশটার সাথে স্পর্শ করে । একদম সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
আশ্চার্য এমন স্ট্রাচুর মত দাড়িয়ে থাকার মানে কি ?
সুমন প্রথম কিছুক্ষন ঠিক মত বুঝতে পারলো না আসলে ঠিক কি কারনে আবীর ওখানে দাড়িয়ে আছে ।
কিন্তু কয়েক মুহুর্ত পার হতেই চট করেই ব্যাপারটা ধরে ফেলল । ধরে ফেলতেই সুমনের মনটা কেন জানি একটু সিক্ত হয়ে উঠল । আবীরের জন্য হঠাৎই একটা শ্রদ্ধাবোধ জেগে উঠল ।
ক্যাম্পাসের সাথেই লাগোয়া যে স্কুলটা আছে সেখানে প্রতিদিন সকালে পিটি করানো হয়। ছেলে মেয়েদের স্কুলের শপত বাক্য পাঠ করানো হয় । এবং সবার শেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । আবীর ঐ জাতীয় সংগীত আর জাতীয় পতাকা কে সম্মান জানানোর জন্যই ওখানে দাড়িয়ে আছে ।
সুমন আপনা আপনি আবীরের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ল । ডান হাতটা চলে বুকের কাছে ।
স্কুলের কোন পিচ্চি ছেলে জাতীয় গাচ্ছে । কি মিষ্টি সেই পিচ্চির গলা ।
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
সুমনের কেন জানি হঠাৎ করেই চোখ ভিজে উঠল । এমন ঘটা করে কোন দিন জাতীয় সংগীত কে সম্মান জানানো হয় নাই । আজকে কেন এতো অদ্ভুদ লাগছে । অদ্ভুদ ভাল একটু অনুভুতি হচ্ছে ।
নিজের দেশ । নিজের একটা পতাকা । নিজের একটা গান । জাতীয় সংগীতের প্রত্যেকটা লাইন যেন বুক চামড়া ভেদ করে সরাসরি হৃদপিন্ড গিয়ে আঘাত করে । প্রতিটি লাইনের সাথে সাথেই সুমন নিজের মধ্যেই একটা কাঁপন অনুভব করছে !
ও মা,
ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রানে পাগল করে--
মরি হায়, হায় রে
ও মা,
অঘ্রানে তোর ভরা খেতে,
আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।।
আবিদা কে আসতে দেখেই মামুন একটু রাগ করলো । কপট চোখ গরম করে বলল
-এই তোমার আসার সময় হল ? কতক্ষন ধরে বসে আছি ।
আবিদা একটু কানে ধরে বলল
-খুব সরি । আসলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে খেছে । প্লিজ রাগ কর না । প্লিজ ।
মামুন তবুও একটু গড়গড় করতে লাগলো । এই মেয়েটার কোন সময় জ্ঞান নাই । একদিনও যদি ঠিক সময় মত আছে ।
আবিদা আবারও একটু হেসে বলল
-আচ্ছা আর রাগ কর না । চল আজকে তোমাকে ভুনা খিচুরী খাওয়াবো । তোমার না ভুনা খিচুরী অনেক পছন্দ । চল ।
মামুনের মুখ তবুও বেজার হয়ে রইলো । হাটতে লাগলো আবিদার সাথে । ক্যান্টিনের দরজা দিয়ে যখন ঢুকবে তখনই আবিদা ওর হাত চেপে ধরে থামিয়ে দিল । খানিকটা বিরক্ত হয়েই মানুম বলল
-কি হল ?
-দেখো ।
-কি ?
আবিদার হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালো । হাত বরারব মামুন তাকিয়ে দেখে সেখানে দুটো ছেলে দাড়িয়ে আছে চুপচাপ । মামুন আবারও বিরক্ত হল ।
-কি হয়েছে ?
-আরে বুঝতে পারছো না ?
-না ।
-আরে গাধা দেখছো পাশের স্কুলে জাতীয় সংগীত হচ্ছে । ছেলে দুটো দাড়িয়ে থেকে সম্মান জানাচ্ছে । আসো ।
-কোথায় ?
-আরে আসো না ।
আবিদা মানুনের হাত ধরে ছেলে দুটোর পিছনে গিয়ে দাড়াল ।
কি শোভা কি ছায়া গো,
কি স্নেহ কি মায়া গো--
কি আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে,
নদীর কূলে কূলে।
মাহমুদ হাসান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন সহকারী প্রোফেসর ! উনি ভার্সিটির পাশের । সকাল সকালই ভার্সিটিতে চলে আসেন । তার উপর আজকে সকাল সাড়ে আট টার সময় একটা ক্লাস আছে । একটু তাড়াহুড়া করতে লাগলাম ! এখনও ক্লাসের কোন প্রস্তুতী নেওয়া হয় নাই । অফিসে বসেই কিছু প্রস্তুতী নিতে হবে !
মাহমুদ হাসান নিজের ঘড়ি দেখলেন !
সকাল সাতটা ৪৫ বাজে । নাহ ১ একটু তাড়াতাড়ি করতে হবে ! তিনি দ্রুত পা বাড়ালন ! ক্যান্টিন পার হতেই মাহমুদ হাসান একটা অদ্ভুদ দৃশ্য দেখতে পেলেন !
ক্যান্টিনের পাশের বন্ধ জং ধরা গেট টার সামনে বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়ে দাড়িয়ে আছে । মাহমুদ হাসানের একটু সময় লাগলো ব্যাপার টা বুঝতে ! কিন্তু পরক্ষনেই বুঝতে পারলো !
মনটা হঠাৎ করেই ভাল হয়ে গেল তার !
আহা ! তার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কিছু ছেলে মেয়ে পড়া শুনা করে এটা জেনেই তার মন ভাল হয়ে গেল !
তিনি নিজেও তাদের সাথে দাড়িয়ে গেলেন ! একটু দেরী হোক না !
মাইকে তখনই ভেসে আসছে
মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো--
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়ন জলে ভাসি।।
যখন জাতীয় সংগীত শেষ হল তখন সুমন লক্ষ্য করলো তার তার চোখ বেয়ে পান পরছে ! সাথে সাথে অদ্ভুদ একটা অনুভুত হচ্ছে ! অদ্ভুদ ভাল লাগার অনুভুতি !
তার থেকে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো ওর ঠিক পাশে প্রায় কয়েক জন ঠিক ওর মত দাড়িয়ে আছে । সবার চোখে মুখে কেমন একটা ভাল লাগার অনুভুতি ! ওদের ভিতর তাদের ডিপার্টমেন্টের স্যারও আছে !
কয়েক মিনিট কেউ কোন কথা বলল না ! তারপর যে যার মত চলে যেতে শুরু করলো ! যেন কিছু হয় নাই ! মাহমুদ হাসানও দ্রুত নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে হাটা দিল !
সুমন একটা ভাল লাগা চোখে সবার চলে যাওয়া দেখলো !
সুমন আবীরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবীর তখনও দাড়িয়ে আছে ।
-এই ! চল !
আবীর ওর দিকে তাকালো !
-কোথায় যাবো?
-চল ! আজ তোমাকে আমাদের ক্যান্টিনের বিখ্যাত ভুনা খিচুরী খাওয়াবো ! চল !
জাতীয় সংগীত !
সুমন তাড়াতাড়ি ক্যান্টিনের দিকে পা বাড়ায় । ক্যান্টিনটা ওর ডিপার্টামেন্টের যাওয়ার পথেই পড়ে । ক্যান্টিনের দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে সুমনের চোখ হঠাৎ করেই বা পাশের গেটটার দিকে চলে গেল । ঠিক ক্যান্টিনের পাশেই একটা পুরানো গেট আছে । বন্ধ থাকে সব সময় । আসলে গেটটার ও পাশে একটা সরকারি স্কুল আছে । আগে গেটটা খোলাই থাকতো কিন্তু ভার্সটি কর্তৃপক্ষ গেট টা বন্ধ করে দিয়েছে । সুমনের দৃষ্টি গেটটার দিকে যায় নি গেছে গেট টার সামনে দাড়ানো একটা ছেলেটার দিকে ।
ছেলেটা ওদের ডিপার্টমেন্টের । আবীর নাম । একটু পাগলা কিসিমের । সারাক্ষন মাথায় সব অদ্ভুদ চিন্তা ভাবনা কাজ করে ! সুমন ক্যান্টিনের গেট থেকেই আবীর দিকে তাকালো । একটু অবাকও হল বটে । এই সকাল বেলা করে আবীর এই বন্ধ গেট টার সামনে কি করে ।
আবীর বন্ধ গেট টার থেকে একটু দুরে চুপ চাপ দাড়িয়ে আছে ওর ডান হাতটা মুঠো করে বুকের বাঁ পাশটার সাথে স্পর্শ করে । একদম সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
আশ্চার্য এমন স্ট্রাচুর মত দাড়িয়ে থাকার মানে কি ?
সুমন প্রথম কিছুক্ষন ঠিক মত বুঝতে পারলো না আসলে ঠিক কি কারনে আবীর ওখানে দাড়িয়ে আছে ।
কিন্তু কয়েক মুহুর্ত পার হতেই চট করেই ব্যাপারটা ধরে ফেলল । ধরে ফেলতেই সুমনের মনটা কেন জানি একটু সিক্ত হয়ে উঠল । আবীরের জন্য হঠাৎই একটা শ্রদ্ধাবোধ জেগে উঠল ।
ক্যাম্পাসের সাথেই লাগোয়া যে স্কুলটা আছে সেখানে প্রতিদিন সকালে পিটি করানো হয়। ছেলে মেয়েদের স্কুলের শপত বাক্য পাঠ করানো হয় । এবং সবার শেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । আবীর ঐ জাতীয় সংগীত আর জাতীয় পতাকা কে সম্মান জানানোর জন্যই ওখানে দাড়িয়ে আছে ।
সুমন আপনা আপনি আবীরের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ল । ডান হাতটা চলে বুকের কাছে ।
স্কুলের কোন পিচ্চি ছেলে জাতীয় গাচ্ছে । কি মিষ্টি সেই পিচ্চির গলা ।
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
সুমনের কেন জানি হঠাৎ করেই চোখ ভিজে উঠল । এমন ঘটা করে কোন দিন জাতীয় সংগীত কে সম্মান জানানো হয় নাই । আজকে কেন এতো অদ্ভুদ লাগছে । অদ্ভুদ ভাল একটু অনুভুতি হচ্ছে ।
নিজের দেশ । নিজের একটা পতাকা । নিজের একটা গান । জাতীয় সংগীতের প্রত্যেকটা লাইন যেন বুক চামড়া ভেদ করে সরাসরি হৃদপিন্ড গিয়ে আঘাত করে । প্রতিটি লাইনের সাথে সাথেই সুমন নিজের মধ্যেই একটা কাঁপন অনুভব করছে !
ও মা,
ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রানে পাগল করে--
মরি হায়, হায় রে
ও মা,
অঘ্রানে তোর ভরা খেতে,
আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।।
আবিদা কে আসতে দেখেই মামুন একটু রাগ করলো । কপট চোখ গরম করে বলল
-এই তোমার আসার সময় হল ? কতক্ষন ধরে বসে আছি ।
আবিদা একটু কানে ধরে বলল
-খুব সরি । আসলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে খেছে । প্লিজ রাগ কর না । প্লিজ ।
মামুন তবুও একটু গড়গড় করতে লাগলো । এই মেয়েটার কোন সময় জ্ঞান নাই । একদিনও যদি ঠিক সময় মত আছে ।
আবিদা আবারও একটু হেসে বলল
-আচ্ছা আর রাগ কর না । চল আজকে তোমাকে ভুনা খিচুরী খাওয়াবো । তোমার না ভুনা খিচুরী অনেক পছন্দ । চল ।
মামুনের মুখ তবুও বেজার হয়ে রইলো । হাটতে লাগলো আবিদার সাথে । ক্যান্টিনের দরজা দিয়ে যখন ঢুকবে তখনই আবিদা ওর হাত চেপে ধরে থামিয়ে দিল । খানিকটা বিরক্ত হয়েই মানুম বলল
-কি হল ?
-দেখো ।
-কি ?
আবিদার হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালো । হাত বরারব মামুন তাকিয়ে দেখে সেখানে দুটো ছেলে দাড়িয়ে আছে চুপচাপ । মামুন আবারও বিরক্ত হল ।
-কি হয়েছে ?
-আরে বুঝতে পারছো না ?
-না ।
-আরে গাধা দেখছো পাশের স্কুলে জাতীয় সংগীত হচ্ছে । ছেলে দুটো দাড়িয়ে থেকে সম্মান জানাচ্ছে । আসো ।
-কোথায় ?
-আরে আসো না ।
আবিদা মানুনের হাত ধরে ছেলে দুটোর পিছনে গিয়ে দাড়াল ।
কি শোভা কি ছায়া গো,
কি স্নেহ কি মায়া গো--
কি আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে,
নদীর কূলে কূলে।
মাহমুদ হাসান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন সহকারী প্রোফেসর ! উনি ভার্সিটির পাশের । সকাল সকালই ভার্সিটিতে চলে আসেন । তার উপর আজকে সকাল সাড়ে আট টার সময় একটা ক্লাস আছে । একটু তাড়াহুড়া করতে লাগলাম ! এখনও ক্লাসের কোন প্রস্তুতী নেওয়া হয় নাই । অফিসে বসেই কিছু প্রস্তুতী নিতে হবে !
মাহমুদ হাসান নিজের ঘড়ি দেখলেন !
সকাল সাতটা ৪৫ বাজে । নাহ ১ একটু তাড়াতাড়ি করতে হবে ! তিনি দ্রুত পা বাড়ালন ! ক্যান্টিন পার হতেই মাহমুদ হাসান একটা অদ্ভুদ দৃশ্য দেখতে পেলেন !
ক্যান্টিনের পাশের বন্ধ জং ধরা গেট টার সামনে বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়ে দাড়িয়ে আছে । মাহমুদ হাসানের একটু সময় লাগলো ব্যাপার টা বুঝতে ! কিন্তু পরক্ষনেই বুঝতে পারলো !
মনটা হঠাৎ করেই ভাল হয়ে গেল তার !
আহা ! তার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কিছু ছেলে মেয়ে পড়া শুনা করে এটা জেনেই তার মন ভাল হয়ে গেল !
তিনি নিজেও তাদের সাথে দাড়িয়ে গেলেন ! একটু দেরী হোক না !
মাইকে তখনই ভেসে আসছে
মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো--
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়ন জলে ভাসি।।
যখন জাতীয় সংগীত শেষ হল তখন সুমন লক্ষ্য করলো তার তার চোখ বেয়ে পান পরছে ! সাথে সাথে অদ্ভুদ একটা অনুভুত হচ্ছে ! অদ্ভুদ ভাল লাগার অনুভুতি !
তার থেকে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো ওর ঠিক পাশে প্রায় কয়েক জন ঠিক ওর মত দাড়িয়ে আছে । সবার চোখে মুখে কেমন একটা ভাল লাগার অনুভুতি ! ওদের ভিতর তাদের ডিপার্টমেন্টের স্যারও আছে !
কয়েক মিনিট কেউ কোন কথা বলল না ! তারপর যে যার মত চলে যেতে শুরু করলো ! যেন কিছু হয় নাই ! মাহমুদ হাসানও দ্রুত নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে হাটা দিল !
সুমন একটা ভাল লাগা চোখে সবার চলে যাওয়া দেখলো !
সুমন আবীরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবীর তখনও দাড়িয়ে আছে ।
-এই ! চল !
আবীর ওর দিকে তাকালো !
-কোথায় যাবো?
-চল ! আজ তোমাকে আমাদের ক্যান্টিনের বিখ্যাত ভুনা খিচুরী খাওয়াবো ! চল !
জাতীয় সংগীত !
No comments :
Post a Comment