বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া-রাহমাতুল্লাহি ওয়া-বারাকাতুহ।
হে মুসলিম ভাই-বোন! সাবধান সতর্ক হোন ইমান বিনষ্টকারি কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস (আকিদা) থেকে। আপনার একটু অসতর্কতার কারণে ইমান হারিয়ে যাচ্ছে, সেদিকে কি আপনার খেয়াল আছে? আমাদের সমাজে শিরক ও বিদ’আত নানা ছলে চুপিসারে এমনভাবে এসে বাসা বাঁধে যে সতর্ক ও তিক্ষ্ণ ধী সম্পন্ন না হলে ঈমান রক্ষা করাই দায় হয়ে পড়ে। ইমানি দায়িত্ব মনে করে আমাদের এই ক্ষুদ্র আলোচনায় আপনাদেরকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন:- আল্লাহ ব্যতীত আর কেউকি গায়েব জানে?
উত্তর:- আল্লাহ বলেন:- (হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলুনঃ আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও জমিনে কেউ গায়েবের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে। (সূরা-নামল, আয়াত-৬৫)
(হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং আমি গায়েবের খবর জানি। (সূরা আন-আম, আয়াত-৫০)
(হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনি বলুনঃ আমি যদি গায়েবের খবর জানতাম তাহলে বহু মঙ্গল সাধন করতাম এবং কোন অমঙ্গল আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। (সূরা-আ’রাফ, আয়াত-১৮৮) অথচ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোলে তার আদরের সন্তান ইব্রাহীম (রাঃ) ছটফট করে মারা গেছেন। তিনি দু’চোখোঁ অশ্রু জড়িয়েছেন ব্যাথিত হয়েছেন, আর মূখে বলেছেন ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিওন। তিনি নিজের সন্তানের কোন মঙ্গল করতে পারে নাই, আল্লাহর ইচ্ছার সামনে। (সূত্র: সীরাতে ইবনে হীশাম, তাফসির ইবনে কাসীর) আজকের দিনে অমুক তমুক ভন্ডরা কি করবে? হে মুসলিম তবুও কি সাবধান হবেন না?
একমাত্র আল্লাহ গায়েবের খবর জানেন। তিনি কারো কাছে নিজ গায়েব প্রকাশ করেন না। তবে যখন তিনি কোন নবী রাসুল কে মনোনীত করেন তখন অহী মারফত কিছু অদৃশ্যের সংবাদ জানিয়ে থাকেন। (সূরা-জিন, আয়াত-২৬,২৭)
এ আলোচনায় জানা গেল যে, একমাত্র আল্লাহ গায়েব জানেন। তিনি স্বীয় নবী রাসুলগণকে কিছু গায়েবের খবর অহীর মাধ্যমে জানান। সুতরাং নবী রাসুলগণ গায়েবের খবর জানতেন না, তাদেরকে জানানো হত। বরং নবী রাসুলগণ ব্যতীত আর কাউকে জানানো হয়নি। অতএব, নবী রাসুলগণ ছাড়া যদি কেউ দাবী করে আমার কাছে গায়েবের খবর আসে অথবা, যদি কেউ প্রচার করে যে অমুক ব্যক্তি গায়েবের খবর জানে তাহলে সে মিথ্যুক, ভন্ড, মুনাফিক।
কতিপয় মুনাফিক যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে আবেদন করে যে ইসলামের দাওয়াতের জন্য মুবাল্লেগীনের প্রয়োজন, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৭০ জন কুরআনের হাফেজকে পাঠিয়ে দেন। তারপর মুনাফিকরা ৭০ জন সাহাবাকে (রাঃ) শহীদ করে দেয়। (বিস্তারিত বুখারী) যারা দাবি করে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েবের খবর জানেন, তাহলে কি তিনি জেনে শুনে ৭০ জন সাহাবাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন? অথচ পবিত্র কোরআনে এরশাদ আছে যদি কেউ বিনা অপরাধে কাউকে হত্যা করে সে যেন সমস্ত মানব জাতিকে হত্যা করল। আর সে হত্যার কাজে কি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহযোগিতা করেছেন? (আওয়ুযুবিল্লাহ) আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। যারা ইলমে গায়েব সম্পর্কে আল্লাহর সমতুল্য কাউকে মনে করল, সে শিরক করল। আর যে ব্যক্তি জেনে শুনে সুস্থ জ্ঞানে শিরক করে সে মুশরিক। পবিত্র কোরআনে এরশাদ আছে,
(নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করে তার জন্য জান্নাত হারাম।)
মদিনার মুনাফিকরা আয়েশা (রাঃ) নামে মিথ্যা অপবাদ লাগিয়েছিল , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাস পর্যন্ত অস্থির অবস্থায় ছিলেন। একমাস পর আল্লাহ অহীর মাধ্যমে আয়েশা (রাঃ) এর সতীত্ব ঘোষনা করেন। এই ঘটনাটি কুরআনের সূরা নূরে ও বুখারী শরিফে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। তারা দেখে না? তাদের চোঁখে কি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। নাকি তারা তাদের মুরুব্বিদের অন্ধ অনুকরন করে। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ-
তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তার অনুসরন কর তাছাড়া আওলীয়াদের অনুসরন কর না। (সূরা:-আরাফ, আয়াত:-৩)
যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীনের সন্ধান করবে, তা কখনো গ্রহন করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ইমরান, আয়াত-৮৫)
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বোঝার তাউফিক দান করুন। সে প্রত্যাশায় আজকের মত বিদায় আল্লাহ হাফেজ.....................।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া-রাহমাতুল্লাহি ওয়া-বারাকাতুহ।
হে মুসলিম ভাই-বোন! সাবধান সতর্ক হোন ইমান বিনষ্টকারি কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস (আকিদা) থেকে। আপনার একটু অসতর্কতার কারণে ইমান হারিয়ে যাচ্ছে, সেদিকে কি আপনার খেয়াল আছে? আমাদের সমাজে শিরক ও বিদ’আত নানা ছলে চুপিসারে এমনভাবে এসে বাসা বাঁধে যে সতর্ক ও তিক্ষ্ণ ধী সম্পন্ন না হলে ঈমান রক্ষা করাই দায় হয়ে পড়ে। ইমানি দায়িত্ব মনে করে আমাদের এই ক্ষুদ্র আলোচনায় আপনাদেরকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন:- আল্লাহ ব্যতীত আর কেউকি গায়েব জানে?
উত্তর:- আল্লাহ বলেন:- (হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলুনঃ আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও জমিনে কেউ গায়েবের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে। (সূরা-নামল, আয়াত-৬৫)
(হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং আমি গায়েবের খবর জানি। (সূরা আন-আম, আয়াত-৫০)
(হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনি বলুনঃ আমি যদি গায়েবের খবর জানতাম তাহলে বহু মঙ্গল সাধন করতাম এবং কোন অমঙ্গল আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। (সূরা-আ’রাফ, আয়াত-১৮৮) অথচ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোলে তার আদরের সন্তান ইব্রাহীম (রাঃ) ছটফট করে মারা গেছেন। তিনি দু’চোখোঁ অশ্রু জড়িয়েছেন ব্যাথিত হয়েছেন, আর মূখে বলেছেন ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিওন। তিনি নিজের সন্তানের কোন মঙ্গল করতে পারে নাই, আল্লাহর ইচ্ছার সামনে। (সূত্র: সীরাতে ইবনে হীশাম, তাফসির ইবনে কাসীর) আজকের দিনে অমুক তমুক ভন্ডরা কি করবে? হে মুসলিম তবুও কি সাবধান হবেন না?
একমাত্র আল্লাহ গায়েবের খবর জানেন। তিনি কারো কাছে নিজ গায়েব প্রকাশ করেন না। তবে যখন তিনি কোন নবী রাসুল কে মনোনীত করেন তখন অহী মারফত কিছু অদৃশ্যের সংবাদ জানিয়ে থাকেন। (সূরা-জিন, আয়াত-২৬,২৭)
এ আলোচনায় জানা গেল যে, একমাত্র আল্লাহ গায়েব জানেন। তিনি স্বীয় নবী রাসুলগণকে কিছু গায়েবের খবর অহীর মাধ্যমে জানান। সুতরাং নবী রাসুলগণ গায়েবের খবর জানতেন না, তাদেরকে জানানো হত। বরং নবী রাসুলগণ ব্যতীত আর কাউকে জানানো হয়নি। অতএব, নবী রাসুলগণ ছাড়া যদি কেউ দাবী করে আমার কাছে গায়েবের খবর আসে অথবা, যদি কেউ প্রচার করে যে অমুক ব্যক্তি গায়েবের খবর জানে তাহলে সে মিথ্যুক, ভন্ড, মুনাফিক।
কতিপয় মুনাফিক যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে আবেদন করে যে ইসলামের দাওয়াতের জন্য মুবাল্লেগীনের প্রয়োজন, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৭০ জন কুরআনের হাফেজকে পাঠিয়ে দেন। তারপর মুনাফিকরা ৭০ জন সাহাবাকে (রাঃ) শহীদ করে দেয়। (বিস্তারিত বুখারী) যারা দাবি করে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েবের খবর জানেন, তাহলে কি তিনি জেনে শুনে ৭০ জন সাহাবাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন? অথচ পবিত্র কোরআনে এরশাদ আছে যদি কেউ বিনা অপরাধে কাউকে হত্যা করে সে যেন সমস্ত মানব জাতিকে হত্যা করল। আর সে হত্যার কাজে কি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহযোগিতা করেছেন? (আওয়ুযুবিল্লাহ) আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। যারা ইলমে গায়েব সম্পর্কে আল্লাহর সমতুল্য কাউকে মনে করল, সে শিরক করল। আর যে ব্যক্তি জেনে শুনে সুস্থ জ্ঞানে শিরক করে সে মুশরিক। পবিত্র কোরআনে এরশাদ আছে,
(নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করে তার জন্য জান্নাত হারাম।)
মদিনার মুনাফিকরা আয়েশা (রাঃ) নামে মিথ্যা অপবাদ লাগিয়েছিল , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাস পর্যন্ত অস্থির অবস্থায় ছিলেন। একমাস পর আল্লাহ অহীর মাধ্যমে আয়েশা (রাঃ) এর সতীত্ব ঘোষনা করেন। এই ঘটনাটি কুরআনের সূরা নূরে ও বুখারী শরিফে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। তারা দেখে না? তাদের চোঁখে কি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। নাকি তারা তাদের মুরুব্বিদের অন্ধ অনুকরন করে। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ-
তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তার অনুসরন কর তাছাড়া আওলীয়াদের অনুসরন কর না। (সূরা:-আরাফ, আয়াত:-৩)
যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীনের সন্ধান করবে, তা কখনো গ্রহন করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ইমরান, আয়াত-৮৫)
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বোঝার তাউফিক দান করুন। সে প্রত্যাশায় আজকের মত বিদায় আল্লাহ হাফেজ.....................।
No comments :
Post a Comment