নিশ্চয়ই নামায নির্লজ্জ ও
অশোভনীয় কাজ হইতে বিরত রাখে। (আনকাবুতঃ৪৫)
নিশ্চয়ই যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং
নেক আমাল করিয়াছে, আর যাহারা (বিশেষ ভাবে) নামাযের পাবন্দী
করিয়াছে এবং যাকাত আদায় করিয়াছে তাহাদের রবের নিকট তাহাদের
সওয়াব সংরক্ষিত রহিয়াছে। আর না তাহাদের কোন আশঙ্কা থাকিবে
এবং না তাহারা চিন্তিত হইবে। (বাকারাহঃ২৭৭)
(আল্লহ তায়া’লা তাঁহার
রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে বলিয়াছেন) আমার
ঈমানদার বান্দাদিগকে বলিয়া দিন, যেন তাহারা নামাযের পাবন্দী
করে এবং আমি যাহা কিছু তাহাদিগকে দিয়াছি উহা হইতে গোপনে ও
প্রকাশ্যে দান খয়রাতও করে — সেই দিন আশার পূর্বে যেদিন না
কোন ক্রয়-বিক্রয় থাকিবে (অর্থাৎ কোন জিনিস দিয়া নেক আমাল
খরিদ করিয়া লওয়া যাইবে না) আর না কোন বন্ধুত্ব কাজে আসিবে।
(অর্থাৎ কোন বন্ধু তোমাকে কোন নেক আমাল দান করিবে না) (সূরা
ইবরাহীম-৩১)
(হযরত ইবরাহীম আ’লাইহিস সালাম
দোয়া করিয়াছেন) হে আমার রব, আমাকে বিশেষভাবে নামাযের
পাবন্দী করনেওয়ালা বানাইয়া দিন এবং আমার বংশধরদের মধ্য
হইতেও। হে আমাদের রব, এবং আমার দোয়া কবুল করুন। (সূরা
ইবরাহীম-৪০)
(আল্লহ তায়া’লা আপন রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে বলিয়াছেন) সূর্য ঢলিয়া
পড়ার পর হইতে রাত্রি অন্ধকারাছন্ন হওয়া পর্যন্ত নামাযগুলি
আদায় করিতে থাকুন। (অর্থাৎ যুহর, আসর, মাগরিব, ইশা) আর
ফযরের নামাযও আদায় করিতে থাকুন, নিশ্চয়ই ফযরের নামায (আমাল
লেখার কাজে নিয়োজিত) ফিরিশতাদের উপস্থিতির সময়। (বনি
ইসরাঈল-৭৮)
(আল্লহ তায়া’লা সফলকাম
ঈমানদারদের একটি গুন এরূপ উল্লেখ করিয়াছেন) আর তাহারা
নিজেদের ফরয নামাযসমূহের পাবন্দী করে। (সূরা মুমিনুন-৯)
হে ঈমানদারগন, যখন জুমুয়ার দিনে
(জুমুয়ার) নামাযের জন্য আযান দেয়া হয় তখন তোমরা আল্লহ
তায়া’লার যিকির (অর্থাৎ খুতবা ও নামায) এর দিকে তৎক্ষনাৎ ধাবিত
হও এবং ক্রয়-বিক্রয় (ও অন্যান্য কাজকর্ম) ত্যাগ কর, ইহা
তোমাদের জন্য অধিক উত্তম যদি তোমাদের কিছু জ্ঞান থাকে। (সূরা
জুমুআহ-৯)